সংবাদদাতা, বর্ধমান : মিষ্টি খাইয়ে অজ্ঞান করে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে দেওয়ানদিঘি থানার পুলিস। ধৃতের নাম সুফল কুণ্ডু। মন্তেশ্বর থানার মূলগ্রামে তার বাড়ি। বর্তমানে সে ভাতারে থাকে। বৃহস্পতিবার ভোররাতে মূলগ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃতকে এদিনই বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে ১৬ নভেম্বর ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম। পুলিস জানিয়েছে, গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ি দেওয়ানদিঘি থানার টুবগ্রামে। মূলগ্রামে তাঁর বাপের বাড়ি। সেই সূত্রে গৃহবধূর সঙ্গে সুফলের পরিচয় রয়েছে। গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির আর্থিক অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। গৃহবধূকে কাজের সুযোগ করে দেওয়ার টোপ দেয় সুফল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকালে সাড়ে ৯টা নাগাদ মিষ্টি হাতে নিয়ে গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে আসে অভিযুক্ত। সেই সময় গৃহবধূর স্বামী বাড়িতে ছিলেন না। গৃহবধূকে মিষ্টি খাওয়ার জন্য জোরাজুরি করে সুফল। সরল বিশ্বাসে গৃহবধূ মিষ্টি খান। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই তিনি সংজ্ঞা হারান। জ্ঞান ফেরার পর তিনি বুঝতে পারেন, তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ততক্ষণে অবশ্য পালিয়েছে অভিযুক্ত। গৃহবধূ ফোন করে এ বিষয়ে জানতে চান সুফলের কাছে। সুফল তাঁকে হুমকি দেয়, তার কাছে গৃহবধূর বেশকিছু আপত্তিকর ছবি রয়েছে। ঘটনার কথা কাউকে জানালে তা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হবে। ভয়ে গৃহবধূ কাউকে কিছু জানান নি। এরপর ১৫ অক্টোবর সকালে ফের গৃহবধূর শ্বশুরবাড়িতে আসে অভিযুক্ত। গৃহবধূকে সে ধর্ষণের চেষ্টা করে। নিজেকে কোনও রকমে মুক্ত করে গৃহবধূ চিৎকার-চেঁচামেচি জুড়ে দেন। আশপাশের লোকজন আসার আগেই সুফল সেখান থেকে পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা জানিয়ে গৃহবধূ নিজেই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে গৃহবধূর গোপন জবানবন্দি আগেই নথিভুক্ত করিয়েছে পুলিস।
মিষ্টি খাইয়ে বধূকে ধর্ষণ, গ্রেফতার অভিযুক্ত
RELATED ARTICLES