সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়া,২৩ ডিসেম্বরঃ রাজ্যের হস্তক্ষেপেও মিটল না ঝালদা পৌরসভার গোষ্ঠী কোন্দল। লোকসভা ভোট পর্যন্ত ডামাডোল পরিস্থিতির ঠেকা দেওয়া হল। রাজ্য নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ঝালদা পৌরসভায় পৌরপ্রধান বদলের আভাস দিতেই ধোঁয়াশা থেকেই গেল। শনিবার, তিনি পুরুলিয়া জেলা সদর কার্যালয়ে তৃণমূলের কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব ও ঝালদা পুরসভার কাউন্সিলররাও ছিলেন সেখানে। বৈঠকে উপস্থিত রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়প্রকাশ মজুমদার ছাড়াও বিধায়ক সুশান্ত মাহাত, তৃণমূলের পুরুলিয়া জেলা সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়া প্রমুখ নেতৃত্ব উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর জয়প্রকাশ মজুমদার পরিস্থিতির ড্যামেজ কন্ট্রোলের চেষ্টা করে বলেন, “কোনও সমস্যা হয় নি। বৈঠকে দলের সব কাউন্সিলর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ মত চলার অঙ্গীকার করেছেন।” বৈঠকে শীলা চ্যাটার্জিকে পুরপ্রধানের দায়িত্ব চালিয়ে যাওয়ার জন্য সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ওই প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, “সব কিছু সব সময় নাও থাকতে পারে।” ঝালদা পুরসভা অনাস্থার বিষয়ে ভাবছে রাজ্য তৃণমূলকে। ১৬ জানুয়ারি বৈঠকের বিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন পুরপ্রধান শীলা চ্যাটার্জি। বৈঠক থেকে বেরিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন নি প্রভাবশালী বর্তমান কাউন্সিলর তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান সুরেশ আগরওয়াল।পুরভোটে জিতে ঝালদা পুরসভা দখলে রাখে তৃণমূল। কিন্তু বছর গড়ানোর আগেই অনাস্থা এনে তৃণমূলকে সরিয়ে কংগ্রেস ও নির্দল জোটের সমর্থনে পুরপ্রধান হন শীলা চট্টোপাধ্যায়। তবে মাস খানেক পরেই শীলা-সহ কংগ্রেসের চার পুরপ্রতিনিধি তৃণমূলে যোগ দেন। তৃণমূল ঝালদার পুরবোর্ড ফেরত পাওয়ায় দাবি করলেও শীলাকে পুরপ্রধান হিসেবে মানতে নারাজ তৃণমূলেরই আদি পাঁচ পুরপ্রতিনিধি। শীলার প্রতি বিরূপ কংগ্রেসেরও দুই পুরপ্রতিনিধি। ওই সাত পুরপ্রতিনিধিই সম্প্রতি শীলার বিরুদ্ধে অনাস্থা এনেছেন। আজকের রাজ্য নেতার ড্যামেজ কন্ট্রোলের বৈঠকের কটাক্ষ করেন জেলা বিজেপি সভাপতি বিবেক রাঙা। তিনি বলেন, “দুর্নীতিগ্রস্ত রাজ্য নেতৃত্ব জেলায় এসে চাওয়া পাওয়ার সমাধান করার চেষ্টা প্রহসন। দুর্নীতির শরিক কে কে হবেন সেটাই ঠিক করছেন দুর্নীতিতে অভিযুক্তরা। আর উন্নয়ন বন্ধ হয়েছে সেই কারণেই।”
ঝালদায় পৌরপ্রধান নিয়ে অনাস্থার ডাকে ডামাডোল পরিস্থিতি ঘুচল না রাজ্যের হস্তক্ষেপেও
RELATED ARTICLES