সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়া,৫ ফেব্রুয়ারি: পরীক্ষা দিতে আসা নিখোঁজ ছাত্র দেবাশীষ মাঝিকে উদ্ধার করল পুরুলিয়া সদর থানার পুলিশ। সদর থানা পুলিশের পক্ষ থেকে আজ তাকে পরীক্ষা দেওয়ার জন্য পরীক্ষা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে এই ঘটনায় যুক্ত থাকার অভিযোগে এক যুবতীকে গ্রেফতার করলো সদর থানার পুলিশ। আজ তাকে পুরুলিয়া জেলা আদালতে তোলা হলে জেল হেফাজত হয় তার। গত শনিবার দ্বিতীয় ভাষা ইংরেজি পরীক্ষা দিতে আসা দেবাশীষ মাঝি নিখোঁজ হয়ে যান। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভেতর থেকেই তার এডমিটটি উদ্ধার করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। তারপরেই পুরুলিয়া সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ জানায় স্কুল কর্তৃপক্ষ। পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে আড়ষা থানার পাতুয়ারা গ্রাম থেকে ছয় জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিচ্ছে চিত্তরঞ্জন উচ্চ বিদ্যালয়ে। প্রথম দিন তারা ওই এলাকা থেকে একটি টোটো ভাড়া করে পরীক্ষা কেন্দ্রে আসে। গত শনিবারও একই ভাবে তারা টোটোতে চেপে পুরুলিয়ার চিত্তরঞ্জন স্কুলের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কিন্তু দেবাশীষ মাঝি তার এডমিট কার্ডটি অন্য এক ছাত্রের ব্যাগে রেখে দেয়। ওই ছাত্র দেবাশীষের নির্দিষ্ট সিটে তার অ্যাডমিট কার্ডটি রেখে দেয়। দেবাশীষ শহরের হাটের মোড়ে টোটো থেকে নেমে এই যুবতীকে ফোন করে ডাকে। জানা যায় তারপর তারা কাঁসাই নদীর ধারে রাত কাটায়। সেখান থেকেই দুজনে পালিয়ে যায় পাড়া থানা এলাকার দূর সম্পর্কের আত্মীয়র বাড়িতে। সেখান থেকেই দুজনকে উদ্ধার তাদের নিয়ে আসা হয়। নিখোঁজ ছাত্রের পারিবারের পক্ষ থেকে আড়ষা থানায় যুবতীর বিরুদ্ধে নাবালক ছাত্রকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন। একাধিক মামলা দায়ের করে পুলিশ। জানা যায় এই ছাত্রের সাথে দীর্ঘদিন ধরেই প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। এর আগেও দুজনে বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। পরীক্ষার্থী কিশোরের বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। আপাতত তাকে পুরুলিয়া শহরের কাছে আনন্দমঠ সরকারি হোমে রেখে বাকি পরীক্ষা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অসম প্রেমে সাড়া দিয়ে পরীক্ষা ছেড়ে প্রেমিকার সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া যুগল গ্রেফতার
RELATED ARTICLES