নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ নিজেকে ‘বহিরাগত’ বলতে রাজি নন সদ্য ঘোষিত তৃণমূল কংগ্রেসের বর্ধমান- দুর্গাপুর কেন্দ্রের প্রার্থী কীর্তি আজাদ। রবিবার ব্রিগেডের সভা শেষে রাতেই তিনি বর্ধমানের বিধায়ক খোকন দাসের অফিসে আসেন। সেখানেই সোজা ব্যাটে নানা প্রশ্ন সামলালেন। বহিরাগত প্রশ্নে তিনি বলেন, “আমি মিথিলাঞ্চলের লোক। মৈথিলী একটা প্রাচীন ভাষা। আমাদের রীতিনীতি অনেকটা মেলে বাংলার সাথে। বাকিটা শিখে নেব”। তিনি বলেন, “কোনো রাজ্যের নয়,দেশের হয়ে খেলেছি। আর মোদীজিও তো গুজরাট নয়,বেনারসে লোকসভায় দাঁড়ান”। ভাষা সমস্যা হবে কী না এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, “আমি বাংলা বুঝতে পারি। বলতে পারিনা”। জিতলে এলাকায় তাকে কতটা পাওয়া যাবে? আজাদ বলেন, একবার জেতা যায়। তিনি নিজের এলাকায় কাজ করেছেন বলে তিনবার জিতেছেন। তিনি জানান,সব কেন্দ্রের কিছু সাধারণ সমস্যা আছে। কিছু বিশেষ চাহিদা আছে। মানুষের আশীর্বাদ পেলে তিনি সংসদে সেগুলিই তুলে ধরবেন। তিনি আরো জানান, মমতা করুণার প্রতিমূর্তি। তিনি মহিষাসুরমর্দিনী। তাই তার সঙ্গে এসেছি। তিনি জানান,এ রাজ্যের মানুষের নায্য পাওনা দেয়নি কেন্দ্র। কোনো প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি। মোদী কি গ্যারান্টি নয়,দিদি কি ওয়ারেন্টি অনেক বেশি ভরসার। তিনি জানান,বিজেপি এই কেন্দ্রে মাত্র একবারই জিতেছে। তাই তিনি তা নিয়ে ভাবিত নন। জয়ী হলে দুর্গাপুর-বর্ধমানের মানুষের জন্য কাজ করবেন।
রবিবার প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরই সোমবার সকালে বর্ধমানের অধিষ্ঠাত্রী সর্বমঙ্গলা দেবীর মন্দিরে আসেন তিনি। সঙ্গে দলের সমর্থকেরা। এখানে ভক্তিভরে পুজো দেন কীর্তি। বেরিয়েই একটি দেওয়াল লেখায় হাত লাগান। এরপরই কাছেই রাধারাণী স্টেডিয়ামের মাঠে আসেন। এখান একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলছিল। এখানে এসে তিনি নিজেকে ফিরে পান যেন। স্থানীয় অল্পবয়সী খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেন। টিপস দেন। পরে সাংবাদিকদের জানান,এটা আমার কাছে সরস্বতীর মন্দির। যে খেলা আমাকে এত কিছু দিয়েছে তার কাছে এলাম। ওদের বলেছি। ভাল খাওয়াদাওয়া করো। আমি মৈথীলী। তাই বলেছি,নানারকম মাছ খাও। ছোট মাছ খাও। নরম পানীয় না খেয়ে নিম্বু পানি খাও। চিনি দিয়ে। গতকালের মত আজও আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তিনি। চালিয়ে খেলে দারুণ কয়েকটি শট খেলেন। চালিয়েই খেলেন। জানান,পুরো ড্রেস পরে থাকলে মাঠের বাইরে বল পাঠিয়ে দিতেন। এক সাংবাদিকের প্রশ্নের উত্তর দিতে দিয়ে বলেন, ভোটের মাঠে এমনই খেলবেন। তিনি বলেন,কোনো সিট কারো স্থায়ী হতে পারে না। বর্ধমানও নয়। সিপিএমের চৌত্রিশ বছরের শাসনকে দিদি হারিয়ে দিয়েছেন। মোদী অমিত শাহ তো অনেক কিছু বলেছিলেন। আর দিদি হুইল চেয়ার বসে ‘খেলা হবে’ বলে দেখিয়ে দিয়েছেন। তবে জিতলে আগের মতই তিনি খেলার জন্য কিছু করবেন। কিন্তু যা করবেন দলের নেতাদের কথামত। এদিন একেবারে শেষে তার বাবার নামে বিজেপি নেতা সামাজিক মাধ্যমে যে ট্যুইট করেছেন তাকে সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন,মানুষ এত নিচে নামতে পারে ভাবা যায় না। ওনার লজ্জা হওয়া উচিত।