নিজস্ব সংবাদদাতা,বর্ধমানঃ সাময়িক ঝড়ে লন্ডভন্ড জামালপুরের একাধিক এলাকা। ঝড়ে উড়ে গেছে একাধিক ঘরের চাল,ঝড়ের তোড়ে অস্থায়ী সেতু থেকে নীচে পরলো চারচাকা গাড়ি,উপড়ে পরেছে একাধিক বিদ্যুৎতের খুঁটি ও গাছ। এখন পর্যন্ত ২ জনের আহত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে বিডিও জামালপুর ও অন্য জনপ্রতিনিধিরা। রবিবার সকালের দিকে হঠাৎ করেই শুরু হয় ঝড়। কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই লন্ডভন্ড অবস্থা হয়ে যায় জামালপুরের সাতগড়িয়া,কোড়া, শিয়ালি,মাঠ শিয়ালি,অমরপুর-সহ একাধিক এলাকা। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, সাময়িক এই ঝড়ে এখনও পর্যন্ত ৩০-৪০ টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়াও একাধিক বিদ্যুৎতের খুঁটি ও গাছ উপড়ে গেছে। বেশ কিছু এলাকার বিদ্যুৎ পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে।অন্যদিকে জামালপুরের অমরপুর এলাকায় দামোদরের উপর অস্থায়ী সেতু পারাপারের সময় ঝড়ে কবলে পরে একটি চারচাকা গাড়ি। ঝড়ের তোড়ে সেতু থেকে গাড়িটি নীচে পরে যায়। ঘটনায় গুরুতরভাবে আহত হয়েছেন ২ জন। তাদের জামালপুর ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। খবর পাওয়ামাত্রই ঘটনাস্থলে যান জামালপুরের বিডিও পার্থসারথী দে-সহ এলাকার জন প্রতিনিধিরা। প্রাথমিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির সাথে কথা বলে তাঁদের খাবার ও পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে প্রশাসনসূত্রে জানা গেছে। এলাকার মানুষের দাবি,প্রতিবারই ভোটের আগে ওই এলাকায় পাকা সেতুর প্রতিশ্রতি দেওয়া হয়। কিন্তু কিছু কাজ হয় নি। এই নিয়ে এলাকার মানুষ ক্ষুদ্ধ। তাদের একাংশ ভোট বয়কটের ডাকও দিয়েছেন ।ঘটনাস্থলে পুলিশ এলে গ্রামবাসীরা বিক্ষোভ দেখান। তারা জানান, ব্রীজের কাজ শুরু না হলে আটটি গ্রামের কেউ ভোট দেবেন না।
অন্যদিকে,সাময়িক ঝড়-বৃষ্টির জেরে মেমারীতে বজ্রাঘাতে মৃত্যু হল এক ব্যক্তির। মৃতের নাম ভীম কর (৫১)। মেমারীর পাল্লা ২ নম্বর ক্যাম্প এলাকায় তার বাড়ি। স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ৬টা নাগাদ হঠাৎই শুরু হয় প্রবল ঝড় বৃষ্টি,তড়িঘড়ি স্থানীয় সূর্যনগর মাঠে গরু আনতে যায় ভীম কর। সেই সময় হঠাৎই বজ্রপাতের বিকট আওয়াজ হয়,পরিবারের লোকজন ছুটে গিয়ে দেখেন মাঠেই পরে আছেন তিনি। এরপরেই ভীমকে সেখান থেকে উদ্ধার করে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পূর্ব বর্ধমানে বজ্রাঘাতে আরও একজনের মৃত্যু
রবিবার খুব সকালের দিকে প্রবল ঝড় বৃষ্টির জেরে জামালপুর এলাকার একাধিক ঘরবাড়ি ভেঙে যায়। অনেক বাড়ির ছাদের চাল উড়ে যায়। সেই সঙ্গে বজ্রপাতের ঘটনায় ভীম কর (৫১)নামে মেমারীর পাল্লা ২ নম্বর ক্যাম্প এলাকার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়। পরে জানা যায় পূর্ব বর্ধমানের মাধবডিহি থানার পাঁইটা গ্রামে বজ্রাঘাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম রামচন্দ্র লোহার (৫৪)। রবিবার সকালে জমিতে কীটনাশক ছড়ানের সময় বজ্রাহত হন তিনি। তড়িঘড়ি তাকে উদ্ধার করে আরামবাগ মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন।