সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ২ মে: বাঁকুড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সুভাষ সরকারের র্যালি থামিয়ে কর্মীদেরকে আক্রমণের অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার, ঘটনাটি ঘটেছে সাঁতুড়ি থানার গড়শিকা এলাকায়। তৃণমূল কর্মীদের আক্রমণে বিজেপির এক কর্মী গুরুতর আহত হয়েছেন। তাঁকে মুরাডি ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনায় বিজেপি তরফ থেকে তিনজন তৃণমূল কর্মীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানো হয়েছে। এদিন সাঁতুড়ির গড়শিকা এলাকায় সুভাষ সরকার র্যালির মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন। র্যালি গড়শিকা গ্রামে ঢোকার সময় হঠাৎ তিনজন তৃণমূল কর্মী ঝান্ডা নিয়ে র্যালি আটকে দেয়। তাই নিয়ে বিজেপি কর্মীদের সাথে তৃণমূল কর্মীদের বচসা হয়। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের তিন কর্মীকে পাশে সরিয়ে র্যালি এগিয়ে নিয়ে যান। অভিযোগ সেই সময় পিছনে থাকা এক বিজেপি কর্মীকে তৃণমূলের কর্মীরা চেলা কাঠ দিয়ে আক্রমণ করে। ঘটনায় বিজেপি কর্মী গুরুতর জখম হয়। ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠে ওই এলাকায়। সাঁতুরি থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতির সামাল দেয়। বিজেপি প্রার্থী ডা: সুভাষ সরকারের অভিযোগ, “আমার র্যালি ওই গ্রামে চলাকালীন কিছু তৃণমূলের লোকজন বাধা দেয়। আমার কর্মীরা তাঁদের সরিয়ে দিয়ে র্যালিটি পার করে দেন। পিছনে থাকা বুথ সভাপতি সহ কয়েকজন কর্মীর উপর চেলা কাঠ নিয়ে হঠাৎ তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী চড়াও হয়। ঘটনায় আহত হন আমার এক কর্মী। সাঁতুড়ি থানায় এবং নির্বাচন কমিশনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়। আজকের মধ্যে অভিযুক্তরা গ্রেফতার না হলে আমার সম্মতিতে থানায় বিক্ষোভ দেখাবেন বিজেপি কর্মীরা।” বিজেপি পুরুলিয়া জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “পুলিশের উপস্থিতিতে এই ঘটনা ঘটেছে। এতে তাদের ভূমিকা ঠিক নেই। গুরুত্বপূর্ণ একজন কেন্দ্রীয় বিদায়ী মন্ত্রীর নিরাপত্তা রক্ষী না থাকলে তো তাঁর উপর হামলা হতেই পারতো। পুলিশ এই অনুমোদিত কর্মসূচিকে গুরুত্ব দেয় নি। তৃণমূলের পক্ষে থেকেই কাজ করছে। এর তীব্র প্রতিবাদ সংগঠিতভাবেই হবে।” যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মতে এটা অনুচিত। জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সৌমেন বেলথরিয়ার দাবি, বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে যাচ্ছে। তাই তারা মিথ্যা নাটক করছে।
সাঁতুড়িতে সুভাষ সরকারের র্যালি থামিয়ে কর্মীদের আক্রমণের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে
RELATED ARTICLES