সাথী প্রামানিক, পুরুলিয়া, ৪ মে: ভোট গ্রহণে তিন সপ্তাহ আগে পুরুলিয়ায় ‘টেম্পো’ তুলে দিয়ে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও কেন্দ্রীয় নেতা রাহুল সিনহা। শনিবার পুরুলিয়ায় দলীয় প্রার্থী জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর মনোনয়নে উপস্থিত ছিলেন তাঁরা। এদিন বিজেপি প্রার্থীর মনোনয়ন জমা ঘিরে বেশ সাজো সাজো রব ছিল। পুরুলিয়ার রাঁচি রোডে প্রার্থীর কার্যালয় থেকে একটি মিছিল বেরিয়ে শহরের একাংশ পরিক্রমা করে প্রশাসনিক ভবনে পৌঁছয়। ঘড়িতে সময় তখন প্রায় দেড়টা। রোদ গরমকে উপেক্ষা করেই বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিজেপি নেতা কর্মীরা এই কর্মসূচিতে যোগ দেন। সুকান্ত মজুমদার, রাহুল সিনহার পাশাপাশি প্রার্থীর জন্য চার প্রস্তাবক এবং পুরুলিয়ার চার দলীয় বিধায়ক ছিলেন জ্যোতির্ময়ের সঙ্গে। তাঁরা সকলে মিলেই প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে যান। তাতে প্রশাসনিক আধিকারিকরা বাধা দিয়ে জানান, এতজনের ঢোকার নিয়ম নেই। প্রার্থী ছাড়াও ৪ প্রস্তাবক শুধুমাত্র মনোনয়নে হাজির থাকতে পারবেন।তা শুনে রাহুল সিনহা ও বলরামপুরের বিধায়ক বানেশ্বর মাহাতো প্রতিবাদ করেন। কেন তাঁরা প্রশাসনিক ভবনে ঢুকতে পারবেন না, সেই প্রশ্ন তুলে প্রশাসনিক আধিকারিকদের সঙ্গে বচসায় জড়ান বিজেপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রাহুল সিনহা। অভিযোগ, বাকবিতন্ডায় পরিস্থিতি ক্রমশ উত্তপ্ত হয়ে উঠলে আচমকাই রাহুল সিনহা মহকুমা শাসককে সরিয়ে দেন। তাতে স্তম্ভিত মহকুমা শাসক উৎপলকুমার ঘোষ নিজের পরিচয় দেন। সুকান্ত মজুমদার আবার গোটা পরিস্থিতির দায় চাপান পুলিশের উপর। তাঁর অভিযোগ, পুলিশ বাধা দিয়ে অশান্ত পরিস্থিতি তৈরি করেছে। তিনি এও দাবি করেন, বাধা দিয়ে কোনও লাভ নেই। বিজেপির সামনে সবাই ঝড়ের মতো উড়ে যাবে। রাহুল সিনহা জানান, আমরা বিধি মেনেই করছিলাম। রোদে গরমে সন্মানীয় বিধায়কদের ওই চত্বরে বসার জন্য তাঁরা ভিতরে যেতে চাইছিলেন। বিষয়টি না বুঝেই উত্তেজিত হয়ে পড়ছিলেন সবাই। বিজেপি জেলা সভাপতি বিবেক রাঙা বলেন, “মানুষের আবেগ উচ্ছ্বাস দেখে স্তভিত হয়ে পড়ে অন্য রাজনৈতিক দল প্রশাসনের একাংশ। এটা ভোট বাক্সে প্রতিফলিত হবেই।”
পুরুলিয়ায় ‘টেম্পো’ তুলে দিয়ে গেলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার
RELATED ARTICLES