নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ দুর্গাপুরের সিটি সেন্টারের নন্ কোম্পানী রিক্রিয়েশন ক্লাবের পরিচালনায় বিশ্ব হাসি দিবস পালিত হল। ডাঃ মদন কাটারিয়া হাসির ব্যায়ামের প্রতিষ্ঠাতা। তিনি প্রথম ১৯৯৫ সালে মুম্বাই এর একটি পার্কে হাসির ব্যায়াম এর সূচনা করেন। এরপর হাসির ব্যায়াম ছড়িয়ে পড়ে সর্বত্র। হাসির ব্যায়ামে মস্তিষ্ক ও শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক থাকে। উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্ট ব্লকেজ, টেনশান, দূর করে,স্মরণশক্তি বাড়ায়, পেটের পেশীকে শক্তিশালী করে। হাসলে শরীরের এন্ড্রোফিনের মাত্রা বাড়ে যা শরীরের স্বাভাবিক পেন কিলার। ৫ মে বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপন উপলক্ষে নন্ কোম্পানী রিক্রিয়েশন ক্লাবের উদ্যোগে ও হাসির ব্যায়ামের প্রশিক্ষক প্রণয় রায়ের পরিচালনায় সিটি সেন্টারের চতুরঙ্গ মাঠে এক হাসির ব্যায়ামের অনুষ্ঠানে অংশ নেন নন্ কোম্পানী রিক্রিয়েশন ক্লাব ও বিদ্যাপতি পতঞ্জলি যোগ শিবিরের সদস্য ও সদস্যারা। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার প্রধান হাসপাতালের এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (ফিজিওথেরাপি) তপন বাদ্যকর, ক্লাব সভাপতি সুদীপ দত্তগুপ্ত, বিশিষ্ট সমাজসেবী মোহিত গাঙ্গুলী, ইস্টবঙ্গল ক্লাবের প্রাক্তন খেলোয়াড় বিবেক সিং, বিশিষ্ট চিত্রকর অমল গড়াই, ক্লাবের ক্রীড়া সচিব সঞ্জয় মন্ডল ও পুলক মিত্র। শ্রী বাদ্যকর হাসির ব্যায়ামের উপকারিতা ও কিভাবে হাসির ব্যায়াম করতে হয় তা নিয়ে প্রাঞ্জল বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন,বর্তমান সময়ে টেনশনমুক্ত জীবনের জন্য হাসির ব্যায়ামের জুড়ি মেলা ভার। হাসির ব্যায়াম ও প্রাণায়ামে অংশ নেন প্রায় ষাটজন মহিলা ও পুরুষ। হাসির ব্যায়াম ও প্রাণায়াম অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন প্রশিক্ষক প্রণয় রায়।
দুর্গাপুরেও বিশ্ব হাসি দিবস উদযাপিত
RELATED ARTICLES