নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: ভোট যুদ্ধ শেষ। দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে প্রার্থীরা কার্যত চষে বেড়িয়েছেন লোকসভার কেন্দ্রের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্ত। ভোট মিটে যেতে আপাতত প্রার্থীদের হাতে এখন অঢেল সময়। তবে তার মাঝেই চলছে গননার প্রস্তুতি। কেউ দলের কর্মীদের বুথ ফেরত সমীক্ষা মিলিয়ে আবার কেউ অন্যান্য সূত্র থেকে প্রাপ্ত তথ্য মিলিয়ে জয় পরাজয়ের হিসাব কষছেন। এই লোকসভা নির্বাচনে রাজ্যের নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম বাঁকুড়া লোকসভা। কারন এই কেন্দ্রে বিজেপির প্রার্থী সুভাষ সরকার ধারে ও ভারে বেশ হেভিওয়েট। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বাঁকুড়া লোকসভায় জয় ছিনিয়ে নেয় বিজেপি প্রার্থী। দলের কর্মীদের মাঝেই বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়েছে সুভাষ সরকারকে। দলের বিক্ষুব্ধদের একাংশের ক্ষোভের মুখে পড়া সেই সুভাষ সরকারের উপর আস্থা রেখেই তাকেই প্রার্থী করেছেন বিজেপি নেতৃত্ব। গত পাঁচ বছরের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে এই লোকসভা নির্বাচনে সমানে সমানে টক্কর দিতে এবার তৃণমূল ভরসা রেখেছে জেলা তৃণমূল সভাপতি, তালডাংরার বিধায়ক, বর্ষীয়ান অরুপ চক্রবর্তীর উপর। আইনজীবি, স্বচ্ছ ভাবমূর্তির,তরুণ নীলাঞ্জন দাশগুপ্তকে প্রার্থী করে দশ বছর আগে হারানো জমি ফিরে পেতে মরিয়া লড়াইয়ে রয়েছে বামেরা। এছাড়াও এই লোকসভায় আরো দশ জন প্রার্থীও রয়েছেন লড়াইয়ের ময়দানে। জমজমাট সেই লড়াইয়ে গত আড়াই মাস ধরে প্রার্থীরা এই লোকসভা কেন্দ্রের গ্রাম গঞ্জ, লোকালয়, শহরের অলিতে গলি কার্যত চষে ভোট ভিক্ষা করেছেন মানুষের কাছে। ২৫ মে নির্বাচনের পরেও সে অর্থে অবসর মেলেনি। প্রার্থীদের ছুটতে হয়েছিল সপ্তম দফার প্রার্থী ও সহযোদ্ধাদের প্রচারে। সপ্তম দফার ভোট শেষে এখন কিছুটা হলেও খোশ মেজাজে অবসর যাপন করছেন প্রার্থীরা। সেই অবসরে সকলেই প্রস্তুতি নিচ্ছেন গননার। চলছে নিজের সম্ভাব্য ভোট প্রাপ্তির জটিল হিসেবা নিকেশও। আর সেই হিসেব নিকেশের ভিত্তিতেই সকলেই বলছেন তাঁরা জিতবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত কোন প্রার্থীর ভাগ্যে শিকে ছেঁড়ে তা জানার জন্য অপেক্ষা করতেই হবে ৪ জুন পর্যন্ত।
প্রার্থীরা কেউ বুথ ফেরত সমীক্ষায় আবার কেউ মানুষের উপর ভরসা রেখেই জয় পরাজয়ের হিসেব কষছেন
RELATED ARTICLES