সংবাদদাতা,অন্ডালঃ তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান ও উপপ্রধান কে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। দলেরই একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি,স্বেচ্ছাচার,স্বজনপোষণের অভিযোগ নিয়ে সরব হয়েছিল। গত সপ্তাহে দুদিন দলের একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান ও উপপ্রধানের ইস্তফার দাবিতে পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভও দেখায়। রবিবার খান্দরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের দেওয়াল সহ গ্রামের বিভিন্ন পাড়াতে প্রধান ও উপপ্রধানকে ‘চোর’ উল্লেখ করে লেখা পোস্টারও দেখাযায়। যা নিয়ে অস্বস্তিতে পরতে হয়েছে শাসক দলের নেতৃত্বকে। প্রধান ও উপপ্রধানকে ঘিরে শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে। দলের পক্ষ থেকে উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকরকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। রবিবার পোস্টার কাণ্ডের পর উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন,পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থনে আমি উপপ্রধান হয়েছি। কিন্তু দলেরই একটি গোষ্ঠী ব্যক্তি স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে, আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য। রবিবার তিনি জানিয়েছিলেন, দলের সম্মান রক্ষার্থে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেব। জানা যায়, সোমবার গণেশ বাবু উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা পত্র দেন অন্ডাল ব্লকের বিডিওর হাতে। বিষয়টি নিয়ে গণেশ বাদ্যকরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায়। তবে শাসক দলের ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল গণেশ বাবুর ইস্তফা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন। গণেশ বাদ্যকর কে নিয়ে পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা ও দলের অন্দরে যে অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ইস্তফা দেওয়ায় তার অবসান ঘটবে বলে জানান কালোবরণ বাবু। কিন্তু,প্রশ্ন উঠছে, যেখানে প্রধান ও উপ প্রধান দুজনের বিরুদ্ধেই দুর্ণীতি, স্বেচ্ছাচার,স্বজনপোষণের অভিযোগ ঘিরে বিতর্ক তৈরী হয়েছিল,সেখানে শুধুমাত্র উপ প্রধানের পদত্যাগেই সমস্যা মিটে যাবে? নাকি এবার প্রধানের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেবেন তৃণমূল নেতৃত্ব?
বিতর্ক বাড়তে থাকায় শেষ পর্যন্ত ইস্তফা দিতে হলো খান্দরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধানকে
RELATED ARTICLES