নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ দিলীপ ঘোষ যখন যেখানেই থাকেন সেখানেই তিনি ভোরবেলা উঠে যান এবং সেই এলাকায় প্রাতঃভ্রমণে বের হন। সদ্য লোকসভা নির্বাচনে তিনি বর্ধমান দুর্গাপুর আসনে প্রার্থী হওয়ার কারনে বর্ধমান ও দুর্গাপুরে বেশ কিছুদিন ছিলেন। প্রতিদিনই তাকে প্রাতঃভ্রমণে বের হতে দেখা গেছে। বুধবার দুর্গাপুরে দলের সাংগঠনিক বৈঠকের জন্য তিনি আগের দিনই দুর্গাপুরে আসেন। যথারীতি বুধবার সকালে দুর্গাপুরের ৩৭ নং ওয়ার্ডের অঙ্গদপুর-অর্জুনপুর এলাকায় তিনি প্রাত:ভ্রমনে বের হয়েছিলেন। পরে অর্জুনপুর এলাকায় চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন। সঙ্গে ছিলেন দুর্গাপুর পশ্চিমের বিজেপি বিধায়ক লক্ষণ ঘোড়ুই সহ বিজেপির কয়েকজন নেতাকর্মী। অন্যদিকে, ওই ৩৭ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলার স্বরূপ মন্ডলও প্রাতঃভ্রমণে বের হয়েছিলেন। আর তখন তাদের সামনাসামনি দেখা হওয়ায় স্বরুপবাবু দিলীপ ঘোষের সাথে হাত মেলান। এনিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অর্জুনপুর,অঙ্গদপুর গ্রামে বিজেপির ভালো ভোটার আছে। তাই তাদের সাথে দেখা করতে এসেছিলাম প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়ে। তখনই এলাকার প্রাক্তন তৃণমূল পুরপিতা এখান দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন আমাদের কর্মীরা তাঁদের বন্ধু,পাড়ার লোককে তাঁরা ডাকে। আমার সাথে তিনি হাত মেলান। ভালো লাগলো। আমি বললাম, আপনার জায়গায় আজকে এসেছি আমরা হাঁটতে। এরকম সৌজন্য থাকা উচিত সবার মধ্যে। রাজনীতি থেকে সৌজন্য চলে যাচ্ছে। আমাদের সকলকে মনে রাখতে হবে,আমরা সামাজিক প্রাণী,সমাজে থাকি, তারপর রাজনীতি ইত্যাদি সবই। তবে যার হজম হবে না সে হোমিওপ্যাথি গুলি খাবে। আমাদের হজম হয়,আমরা সবার সাথে মিলেমিশে কাজ করি”। অন্যদিকে, স্বরূপ মন্ডল বলেন, প্রতিদিনের মতো আমিও প্রাত:ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম। তখনই রাস্তায় দিলীপবাবুদের সাথে দেখা হয়ে গেল। সৌজন্য সাক্ষাৎ করলাম। তবে এর বেশি কিছু না। আমি প্রতিদিনই প্রাত:ভ্রমণে বের হই”।
দুর্গাপুরে প্রাতঃভ্রমণে বেড়িয়ে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ তৃণমূল নেতার
RELATED ARTICLES