দুর্গাপুর,১৪ ফেব্রুয়ারীঃ গত ১২ ফেব্রুয়ারী থেকে দুর্গাপুরে শুরু হয়েছে ‘সীমান্ত অঞ্চল যুব আদান প্রদান কার্যক্রম’। এর উদ্যোক্তা ভারত সরকারের যুব কল্যাণ ও ক্রীড়া দপ্তরের অধীনস্ত নেহেরু যুব কেন্দ্র দুর্গাপুর। সহযোগিতায় রয়েছে দুর্গাপুর সাব ডিভিশনাল স্পোর্টস এন্ড কালাচারাল ক্লাবস কো অর্ডিনেশন সোসাইটি ও রোটারি ক্লাব অফ দুর্গাপুর স্মার্ট সিটি। বিধাননগরে অবস্থিত বিশপ হাউসে ‘সীমান্ত অঞ্চল যুব আদান প্রদান কার্যক্রম’ এর শুক্রবার ছিল তৃতীয় দিন। এদিন ১৪ ফেব্রুয়ারী তাই অধিবেশনের আগে পুলওয়ামার শহীদদের স্মরণ করা হয় এখানে। ২০১৯ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারী। ৭৮ টি গাড়িতে ২৫০০ জন সিআরপিএফ জওয়ানকে সঙ্গে নিয়ে কনভয় রওনা হয়েছিল জম্মু থেকে শ্রীনগরের দিকে। গাড়ি চলেছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে ৪৪ এ। আচমকা কনভয়ে ঢুকে পড়ে একটি বাস। বিস্ফোরক বোঝাই ওই বাস মুহূর্তে বিস্ফোরিত হয়। ৭৬ তম ব্যাটালিয়ানের ৪০ জন সেনা জওয়ান শহীদ হন। তাই অধিবেশনের শুরুতে মোমবাতি জ্বালিয়ে ও নীরবতা পালন করে পুলওয়ামার শহীদদের স্মরণ করেন অধিবেশনে অংশগ্রহকারীরা। এদিনের অধিবেশনে গুরুত্বপূর্ণ ৩টি বিষয় নিয়ে যুবদের সঙ্গে মত বিনিময় হয়েছে। ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলা বিষয়ে’ আলোচক ছিলেন প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্ণেল রোটারিয়ান সুব্রত চক্রবর্তী, ‘চাপমুক্ত জীবনযাপন বিষয়ে’ আলোচক ছিলেন রোটারিয়ান কর্নেল ডাক্তার ভি ভি গুচ্ছাইত এবং ‘বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য বিষয়ে’ আলোচক ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সুচিন্ত চট্টরাজ। প্রশ্নোত্তর ও অডিও ভিসুয়াল মাধ্যমে প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল যুবদের অধিবেশনগুলি। অথিতিদের সম্মানিত করেছেন নেহেরু যুব কেন্দ্র দুর্গাপুরের আধিকারিক অন্বেষা ভট্টাচার্য। সঞ্চালক ছিলেন কবি ঘোষ। অনুষ্ঠানে আসাম,ত্রিপুরা,মেঘালয়, সিকিম, বিহার ও উত্তরপ্রদেশ থেকে ২৫ জন যুব প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করে। আলোচনা সভাগুলিতে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী সুবীর রায় ও অমিতাভ ব্যানার্জী,রক্তদান আন্দোলনের নেতা রাজেশ পালিত,থ্যালাসেমিয়া সোসাইটির গোপী রঞ্জন বসু সহ বিশিষ্টজনেরা। যুব প্রতিনিধিদের সকালে প্যারেড ও ব্রতচারী প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। বিকালে তাদের অর্গানিক গার্ডেন,ইসকন মন্দির,জংশন মল,সিটি সেন্টার সহ দুর্গাপুরের কিছু দ্রষ্টব্য স্থান ঘুরিয়ে দেখানো হয় বলে জানান উদ্যোক্তারা।
