সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ আগের ২০ মে ডাকা দেশজুড়ে সাধারন ধর্মঘটের দিন বদলে আগামী ৯ জুলাই করা হয়েছে। ইতিমধ্যে শ্রমিক সংগঠনগুলির পক্ষ থেকে সেই ধর্মঘট সফল করার জন্য ধারাবাহিক প্রচার চালানো হচ্ছে। ১০ টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন এবং শিল্প ভিত্তিক ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের যুক্ত মঞ্চের পক্ষ থেকে শিল্প ও শ্রমিক স্বার্থ জড়িত মোট ১৭ দফা দাবিতে আগামী ৯ জুলাই দেশ জুড়ে একদিনের এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ইউনিয়ন গুলির পক্ষে জানানো হয়েছে,আইন করে শ্রমিকদের নূন্যতম অধিকার কেড়ে নেওয়ার বিরুদ্ধে, লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গুলি ব্যক্তিগত মালিকের হাতে তুলে দেওয়ার বিরুদ্ধে, কৃষকদের লাগাতার বঞ্চনার বিরুদ্ধে,শিক্ষা শেষে কর্ম সংস্থানের দাবিতে,ধর্মীয় সংঘাত জিইয়ে রেখে দেশের যুবক যুবতীদের অন্ধকার ভবিষ্যতের দিকে ঠেলে দেওয়ার বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটে সামিল হচ্ছে আইএনটিইউসি,সিটু, এআইটিইউসি,এইচএমএস সহ দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় শ্রমিক সংগঠন। ইতিমধ্যে দুর্গাপুর শিল্প নগরীতে এই ধর্মঘটের প্রচারে নেমেছে আইএনটিইউসি ও সিটু। তারই অঙ্গ হিসেবে সোমবার দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের মেইন গেটের সামনে ধর্মঘটের সমর্থনে এক কর্মসূচি পালন করে আইএনটিইউসি অনুমোদিত হিন্দুস্থান স্টিল ওয়ার্কাস ইউনিয়ন। এরপর আইএনটিইউসির নেতৃবৃন্দ ও কর্মীরা মিছিল করে ডিএসপির ইডি (ওয়ার্কস) কার্যালয়ে গিয়ে ধর্মঘটের নোটিশ দেন। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক (আহ্বায়ক) রজত দীক্ষিত বলেছেন, শ্রমিক বিরোধী নতুন শ্রম কোড বাতিল,লাভজনক রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানা গুলোকে বেসরকারিকরণের প্রতিবাদে, ঠিকা শ্রমিকদের নূন্যতম মজুরি ২৬,০০০ টাকা করা, ডিএসপি ও এএসপির আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণের দাবিতে, স্থায়ী কাজে স্থানীয় লোকদের নিয়োগের দাবি সহ মোট ১৭ দফা দাবিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়। নিয়ম মেনে ১৫ দিন আগে ডিএসপির ইডি (ওয়ার্কস) ডা. কে রামকৃষ্ণণকে ধর্মঘটের নোটিশ দেওয়া হয় বলে রজত বাবু জানান। একই সঙ্গে তিনি আগামী ৯ জুলাই দেশ জুড়ে একদিনের ধর্মঘট সফল করার আহ্বান জানান। অন্যান্যদের মধ্যে এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন জেলা আইএনটিইউসি সভাপতি সুভাষ সাহা,কার্যকরী সভাপতি পরেশনাথ কর্মকার,যুগ্ম সম্পাদক অসীম মোশান,দীপঙ্কর দুবে,সজল মুখার্জী, বাসুদেব মুখার্জী,পঙ্কজ কর্মকার,সমীর মুখার্জী প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। একই দিনে এই ধর্মঘটের প্রচারে দুর্গাপুর মিশ্র ইস্পাত কারখানা তথা এএসপিতেও সিটুর পক্ষে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ২০ মে ছিল এই ধর্মঘটের নির্ধারিত তারিখ। কিন্ত, সেই সময় কাশ্মীরের পহেলগামে জঙ্গি হানা ও তার পরে ‘অপারেশন সিন্দুর’ সহ সামগ্রিক পরিস্থিতির কারনে ধর্মঘটের দিন পিছিয়ে ৯ জুলাই করা হয়েছে।
