নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ ঘটা করে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একই গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি ও সিপিএম থেকে জয়ী দুই পঞ্চায়েত সদস্য। কিন্তু সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই ফের নিজের নিজের দলে ফিরলেন ওই দুই সদস্য। ঘরে ফিরে দুজনেরই দাবী, ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃণমূলে। অভিযোগ অস্বীকার তৃণমূলের। ঘটনা বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতের। পঞ্চায়েত নির্বাচন ও পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের পরেও দল বদলের রাজনীতি অব্যাহত বাঁকুড়া জেলায়। দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতে মোট ১৮টা তার মধ্যে ৬ টায় জয়ী হয় তৃণমূল কংগ্রেস, সিপিআইএম ও বিজেপি জয়ী হয় ৫টি করে আসনে, ২টি আসনে জয়ী নির্দল। পরে দুই বিজেপির জয়ী সদস্য তৃণমূলে যোগ দিলে তৃণমূল দহলা গ্রাম পঞ্চায়েত বোর্ড গঠন করে। গত ১৭ সেপ্টেম্বর বাঁকুড়ার খাতড়া ব্লকের দহলা গ্রাম পঞ্চায়েতের শিকরাবাইদ গ্রাম সংসদ থেকে জয়ী বিজেপি সদস্য ভগবত দুলে দল বদল করে যোগ দেন তৃণমূলে। গত ২১ সেপ্টেম্বর ওই পঞ্চায়েতেরই ভেদুয়া বুথ থেকে সিপিএম এর জয়ী সদস্য লক্ষ্মীপ্রিয়া রায়ও তৃণমূলে যোগ দেন রাজ্যের খাদ্য সরবরাহ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডির হাত ধরে। মন্ত্রী সে সময় দাবী করেন এলাকার উন্নয়নের স্বার্থেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। কিন্তু সেই যোগদানের সপ্তাহ ঘুরতে না ঘুরতেই দুই পঞ্চায়েত জয়ী সদস্যই ফিরে যায় নিজের নিজের শিবিরে। আর নিজের নিজের ঘরে ফিরে দুজনই দাবী করলেন ভয় ও প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের নিয়ে যাওয়া হয়েছিল তৃনমূলে। সিপিএম ও বিজেপি নেতৃত্বও সেই একই দাবী করেছেন। যদিও তৃণমূল সেই অভিযোগ মানতে চায়নি। উল্টে তৃণমূলের দাবী ওই দুই সদস্য যোগদানের পর সিপিএম ও বিজেপি ভয় দেখিয়ে ওই দুই পঞ্চায়েত সদস্যকে ফের নিজেদের দলে টেনেছে। তবে তাঁদের সেই দলে ফেরা বেশিদিন স্থায়ী হবে না। আবার তাঁরা তৃণমূলেই আসবেন।
তৃণমূলে যোগ দিয়েও ঘরে ফিরলেন বিজেপি ও সিপিএম এর দুই পঞ্চায়েত সদস্য
RELATED ARTICLES