নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ ডিভিসির দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে ছাড়া জলেত পরিমাণ ধীরে ধীরে কমানোয় দামোদর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার আশঙ্কা কমছে। তবে উদ্বেগ বৃদ্ধি করছে দারকেশ্বর। গতকাল থেকেই দারকেশ্বর নদে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে জলস্তরের উচ্চতা। তিনটি সেতু জলের তলায় থাকায় এখনো বন্ধ রয়েছে ওই তিনট সেতু দিয়ে যাতায়াত। নিম্নচাপের জেরে শুক্রবার থেকে টানা বৃষ্টিতে সোমবার রাত থেকেই বন্যার ভ্রুকুটি দেখা দেয়। গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মতো দামোদরের দুর্গাপুর ব্যারেজ ও কংসাবতী নদীর মুকুটমনিপুর জলাধার জল ছাড়ায় পরিস্থিতি আরো ঘোরালো হয়ে ওঠে। বন্যার আশঙ্কা তাড়া করতে থাকে সোনামুখী, ইন্দাস ও পাত্রসায়ের ব্লকের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষকে। তবে মঙ্গলবার রাত থেকে ধীরে ধীরে দুর্গাপুর ব্যারেজ জল ছাড়ার পরিমাণ কমানোয় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হতে থাকে। দামোদর তীরবর্তী এলাকায় উদ্বেগ কাটলেও দারকেশ্বর নদ নতুন করে চিন্তায় ফেলেছে। দারকেশ্বরের উপরে থাকা মীনাপুর, ভাদুল সেতুর পাশাপাশি জলের তলায় চলে গেছে ভেলাইডিহা সেতুও। সেতুর উপর দিয়ে কোথাও সাত ফুট আবার কোথাও দশ ফুট উচ্চতা দিয়ে বেগে বইছে জল। দারকেশ্বর নদের উচ্চ অববাহিকায় বৃষ্টি বেশি হওয়ায় ক্রমাগত জল বাড়ছে এই নদীতে। কংসাবতী নদী উপত্যকায় ভালো বৃষ্টি হওয়ায় মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। দশ হাজার কিউসেক থেকে ছাড়া জলের পরিমাণ বৃদ্ধি করে ২৪ হাজার কিউসেক করা হয়েছে। ফলে দামোদর কিছুটা চিন্তা কমালেও দারকেশ্বর ও কংসাবতী নদী তীরবর্তী গ্রামগুলির উদ্বেগ এখনি কাটছে না।
দামোদরে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও জল বাড়ছে দারকেশ্বর সহ বাঁকুড়ার সব নদীতে
RELATED ARTICLES