দুর্গাপুর,২৩ জুনঃ দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানার অধীন ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লী এলাকায় অবৈধ মদের ঠেক চালানোর প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের রোষের মুখে পড়েন এলাকার গৃহবধূ রিঙ্কু অঙ্কুর। অভিযোগ এরপরেই ওই বধূর স্বামীকে তার কর্মস্থল থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। স্বামীর কাজ যাতে থাকে সেই আবেদন নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল নেতাদের কাছে গিয়েছিলেন রিঙ্কু। কিন্তু,ওই তৃণমূল নেতারা তাকে কুপ্রস্তাব দিলে সে তাতে রাজি হয়নি। অভিযোগ, এরপর থেকেই তার উপর চাপ দিতে থাকে নেতারা এবং তাকে ও তার পরিবারকে ক্রমাগত হুমকী দিতে থাকে তৃণমূলের কয়েকজন নেতা। অভিযোগ, এই অবস্থায় আত্মঘাতীর চেষ্টা করে ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের নবীন পল্লীর ওই গৃহবধূ। এই ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে এলাকার মহিলারা নিউ টাউনশিপ থানায় অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়। শনিবার সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হতেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের সহসভাপতি সুকুমার বাউরী এবং শেখ বিল্লিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এদিকে অভিযুক্ত আরও দুই নেতা বাদল ভুঁড়ি ও বিশ্ব বাউরির নামে অভিযোগ থাকলেও তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না এই দাবিতে থানায় বিক্ষোভ দেখায় রিঙ্কুর পরিবার ও প্রতিবেশীরা। রবিবার তাদের সঙ্গে এই বিক্ষোভে যোগ দেন বিজেপি নেত্রী বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। তার দাবি অবিলম্বে বাকি দোষীদের গ্রেপ্তার এবং নির্যাতিতার পরিবারের নিরাপত্তা দিতে হবে। অন্যদিকে থানার কাছেই ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা অগ্নিমিত্রা পালকে গো ব্যাক স্লোগান দিতে থাকলে উত্তেজনা দেখা দেয়। অন্যদিকে নবীনপল্লী এলাকার তৃণমূলের বুথ সভাপতি পরিমল হালদারের পাল্টা দাবী,আত্মহত্যার নাম করে ওই মহিলা বিজেপি কর্মীদের দিয়ে ভুয়ো ভিডিও করে আমাদের কর্মীদের নামে বদনাম ছড়ানোর জন্য চেষ্টা করছে। আর অগ্নিমিত্রা পাল রাজনৈতিক রং দেওয়ার জন্য থানা ঘেরাও করেছে।
দুর্গাপুরের নির্যাতিতা মহিলার পাশে অগ্নিমিত্রা পাল,থানা ঘেরাও
RELATED ARTICLES