Sunday, November 24, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গএক মাস পর বাংলাদেশী নাবালিকা পাচারচক্রে ধৃত লিঙ্কম্যান

এক মাস পর বাংলাদেশী নাবালিকা পাচারচক্রে ধৃত লিঙ্কম্যান

জয় লাহা, দুর্গাপুর, ২৯ সেপ্টেম্বর: প্রায় এক মাস পর আন্তর্জাতিক নারী পাচারচক্রের এক লিঙ্কম্যান ধরা পড়ল কমিশনারেট পুলিশের জালে। পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, ধৃতের নাম লালু হোসেন শাহ ওরফে তপন। তার বাড়ী কাঁকসা থানা এলাকায়। বৃহস্পতিবার রাতে দুর্গাপুরের প্রাণকেন্দ্র সিটি সেন্টার থেকে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। শুক্রবার আদালতে তোলা হলে বিচারক তার জামিন খারিজ করে দেন। প্রসঙ্গত, গত ২৮ আগস্ট দুর্গাপুর কাদারোডে যৌনপল্লী থেকে উদ্ধার হয় এক বাংলাদেশী নাবালিকা। ঘটনায় ওইদিন রাত্রে দুর্গাপুর ও পানাগড়ে এক মহিলা সহ তিনজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। যার মধ্যে এক মহিলাসহ দুজনকে পানাগড় বায়ুসেনা জওয়ানের ভাড়া বাড়ী থেকে গ্রেফতার হয়। ওই নাবালিকাকে জেরা করে পুলিশ পাপ্পু রজক, সাইনুর বিবি ও সেখ মুস্তাক আহমেদের হদিশ পায়। সাইনুর ও মুস্তাক স্বামী স্ত্রী পরিচয়ে দুজন পানাগড় বায়ুসেনা ঘাঁটি লাগোয়া ডাঙাপাড়ায় উমেশ মিশ্র নামে এক বায়ুসেনা জওয়ানের বাড়ীতে ভাড়া নিয়ে থাকত। জানা গেছে, বাংলাদেশের দুই দালাল ওই নাবালিকাকে ভুবনেশ্বরের এক নারী পাচারকারীর হাতে তুলে দেয়। নাবালিকাকে নিয়ে আসা হয় দুর্গাপুরের একটি বিউটি পার্লারে। তখন থেকে সে মুস্তাকের স্ত্রীর সঙ্গে থাকত। তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করানো হত। বিভিন্ন হোটেলে গিয়ে এসকর্ট সার্ভিস দিতে হত তাকে। মুস্তাক গত ২৮ আগস্ট দুর্গাপুরের ভিড়িঙ্গি মোড়ে ওই বাংলাদেশি নাবালিকাকে গাড়িতে করে পৌঁছে দেয়। সেখান থেকে পাপ্পু রজক তাকে যৌনপল্লিতে পৌঁছে দেয়। নাবালিকা সেখানে পৌঁছে আশপাশ ঘুরে দেখছিল। তখন স্থানীয় যৌন কর্মীদের সন্দেহ হওয়ায় থানায় খবর দেন তাঁরা। এরপরেই পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। মুস্তাক ও তার স্ত্রীর মোবাইল ফোন থেকে আসানসোল ও দুর্গাপুরের প্রায় ২০টি হোটেলের নাম পেয়েছে পুলিশ। ওই সব হোটেলে ওই নাবালিকাকে সার্ভিস দিতে হত বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনায় গোটা চক্রের হদিশ খুঁজতে জোর তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবার চক্রের এক লিঙ্কম্যান লালু হোসেন শাহকে গ্রেফতার করে পুলিশ। লালু হুসেন শাহ ওরফে তপন এর আগে নাবালিকা পাচার সহ দেহ ব্যবসার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। দিনকয়েক আগে হোটেলে প্রাইভেট পার্টির নাম করে দেহ ব্যবসা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার হয় তপন। কিন্তু আন্তঃর্দেশীয় নারী পাচার চক্রের যোগ না পাওয়ায় জামিনে ছাড়া পায়। শুক্রবার তাকে দুর্গাপুর মহকুমা আদালতে তোলা হলে ৬ দিনের পুলিশ হেপাজতের নির্দেশ দিন বিচারক।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments