নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বাঁকুড়ার পর এবার বিষ্ণুপুরেও প্রকাশ্যে এল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ। কোথাও নাম করে আবার কোথাও নাম না করে সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ ও বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিজেপির বিষ্ণুপুরের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সুজিত অগস্তি। বাঁকুড়ার পর বিষ্ণুপুরেও এভাবে দলের অন্তর্দ্বন্দ সামনে চলে আসায় স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। গতকাল বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দের জেরে দলের বাঁকুড়া জেলা সাংগঠনিক জেলা কার্যালয়ে তালাবন্দী হতে হয় কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুভাষ সরকারকে। দলীয় কার্যালয়ের ভেতরেই দলীয় কর্মীদের হাতে নিগৃহিত হন বিজেপির বাঁকুড়া সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুনীল রুদ্র মন্ডল। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার সামাজিক মাধ্যমে সামনে চলে এল বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার অন্তর্দ্বন্দ। ঘটনার সূত্রপাত গত কাল রাতে। জনৈক সৌমিত্র চ্যাটার্জী ফেসবুকে পোস্ট করেন “এবার বাঁকুড়া জেলার পুনরাবৃত্তি হতে চলেছে বিষ্ণুপুরে”। ফেসবুকের এই পোস্ট ট্যাগ করা হয় বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তথা বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি সুজিত অগস্তিকে। অভিযোগ এরপরই সামাজিক মাধ্যমের ওই পোস্টের কমেন্টে পদবী বাদ দিয়ে শুধুমাত্র সুজিত নাম করে সাংসদ সৌমিত্র খাঁ হুঁশিয়ারি দেন দম থাকলে করে দেখা। ওই পোস্টে সাংসদ পরোক্ষে সুজিতের রাজনৈতিক জীবন শেষ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন বলে অভিযোগ। এর পাল্টা সামাজিক মাধ্যমে সরব হন সুজিত অগস্তি। তিনি লেখেন “দম থাকলে পদবী নিয়ে লেখ্। তারপর দেখাবো”। সামাজিক মাধ্যমে দলের দুই নেতার এই উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ে রীতিমত অস্বস্তিতে পড়েন বিজেপি নেতৃত্ব। সাংসদ সৌমিত্র খাঁ বলেন এই পোস্ট তিনি করেননি। মোবাইল তাঁর পার্সোনাল সেক্রেটারির কাছে থাকে। তিনি এই পোস্ট করে থাকলে বেশ করেছে। সাংসদের অভিযোগ তৃনমূলের সাথে হাত মিলিয়েই এসব কথা বলা হচ্ছে। সুজিত অগস্তির দাবী তাঁকে ট্যাগ করা কোনো পোস্টের দায় তাঁর নিজের নয়। দম থাকলে তিনি আড়ালে থেকে নয় সামনাসামনি লড়ে দেখাবেন।তৃণমূলের কটাক্ষ এটাই বিজেপির সংস্কৃতি। নিজেদের পায়ের তলার মাটি হারিয়ে বিজেপি এখন নিজেদের গোষ্ঠীকোন্দলে ব্যস্ত।
বাঁকুড়ার পর বিষ্ণুপুরেও বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব,সামাজিক মাধ্যমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়
RELATED ARTICLES