নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ মামলায় অভিযুক্ত হয়ে গত ২০১৯ সাল থেকে একমাত্র ছেলে জেলে বন্দি। দুর্ঘটনায় মূমূর্ষু বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে এলেন জেলের রক্ষীরা। এমনই মানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকল বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগার। জানা গেছে, বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার পাথরা গ্রামের বাসিন্দা সুকুমার সোরেন গত পাঁচ বছর ধরে বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে বন্দি। সম্প্রতি খবর আসে সুকুমার সোরেনের বাবা লখাই সোরেন দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম হয়ে মূমূর্ষু অবস্থায় ভর্তি হয়েছেন বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিকেল কলেজে। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন লখাই সোরেনকে বাঁচাতে হলে আপৎকালীনভাবে চার ইউনিট রক্তের দরকার। কিন্তু প্রবল গরম ও ভোটে রাজনৈতিক দলগুলির ব্যস্ততার কারনে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজের ব্লাড ব্যঙ্ক এখন কার্যত রক্তশূন্য। এই পরিস্থিতিতে লখাই সোরেনের প্রয়োজনীয় রক্ত মিলবে কোথা থেকে তা নিয়ে চূড়ান্ত অসহায় হয়ে পড়ে পরিবার। সেই খবর এসে পৌঁছায় বাঁকুড়া জেলা সংশোধনাগারে। এরপরই জেলা সংশোধনাগারের তরফে চার রক্ষী ছুটে যান বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজে। নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে তাঁরা চার ইউনিট রক্তদান করেন। এক বন্দির পরিবারের জন্য জেল রক্ষীদের এমন মানবিক কাজে রীতিমত প্রশংসার সুর সব মহলের। খুশি জেল রক্ষী থেকে আধিকারিক সকলেই।




