নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: নতুন সেতুর দাবীতে বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কট। পঞ্চায়েত ভোটে যুবককে করা হয় একমাত্র নির্দল প্রার্থী, ভোটে জিতে যোগ তৃণমূলে, অবশেষে আশা পূরণ। নতুন ব্রিজ পেতে চলেছে জামথোলবাসী, কাজ শুরু হওয়ায় খুশি গ্রামবাসীরা। ছাতনা ব্লকের ধবন গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত জামথোল সহ ২০ থেকে ২৫ টি গ্রামের মানুষদের দীর্ঘদিনের দাবি পাকা সেতু নির্মাণের।সেতু হয়নি তাই বিধানসভায় ভোট বয়কট পথে হেঁটে ছিল গ্রামের মানুষ। আগে সেতু তারপর ভোট এই দাবি নিয়ে হয়েছে পথ অবরোধ, বিক্ষোভ, ভোট বয়কট।সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে একমাত্র নির্দল প্রার্থী হয় গ্রামের যুবক,জয়ী হয়ে নতুন সেতু নির্মাণ সহ গ্রামের উন্নয়নের লক্ষ্যে যোগ দেয় শাসক দল তৃণমূলে। অবশেষে আশা পূরণ। ছাতনা ব্লকের ধবন গ্রাম পঞ্চায়েতের জামথোল ব্রিজ দীর্ঘ দিনের দাবি এলাকাবাসীর। এই সেতুই বাঁকুড়ার সঙ্গে পুরুলিয়া জেলার বিস্তীর্ণ অংশের মানুষের যোগাযোগ স্থাপন করে। একদিকে বাঁকুড়া জেলার জামথোল, আসুরাবাদ,জলহরি জোড়থোল, ফুলবেড়িয়া অন্যদিকে পুরুলিয়া জেলার মনিহারা, কেন্দবেদা শিয়ালডাঙ্গা সহ ২০-২৫ টি গ্ৰামের মানুষের নিত্য যাতায়াত মুল ভরসা এই জামথোল সেতু। ভাঙাচোরা নিচু কজওয়ে দিয়ে যাতায়াতের প্রচুর সমস্যা। প্রায়শ্রই ঘটে দুর্ঘটনা। সামান্য বৃষ্টিতেই জামথোল ব্রিজের উপর দিয়ে বয় জলরাশি। বর্ষাকালে যাতায়াত প্রায় বন্ধই হয়ে যায় গ্রামের মানুষগুলির। তখন ঘুরপথে প্রায় কুড়ি কিলোমিটার ঘুরে আসতে হয় মূল রাস্তায়। সেতু নির্মাণের দাবিতে ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে ভোট বয়কট করে এলাকাবাসী।২০২৩ সালে একই দাবীতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সর্বসম্মতিক্রমে একমাত্র নির্দল প্রার্থী হয় গ্রামের যুবক অভিজিৎ মুর্ম, জয়ী হয়ে যোগ দেয় তৃণমূলে। হয়েছে পথ অবরোধ বিক্ষোভ ডেপুটেশন সহ বিভিন্ন আন্দোলন। অবশেষে গ্রামবাসীদের দীর্ঘ আন্দোলন ফলস্বরূপ লোকসভা নির্বাচনের আগে জেলা পরিষদের অঅর্থানুকূলে ১ কোটি ৬১ লক্ষ টাকা বরাদ্দের পাকা সেতুর ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনে খুশি জামথোল গ্ৰামবাসী। গত মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় জেলা সফরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় খাতড়ার খড়বন মাঠের প্রশাসনিক সভায় এই ব্রিজটির নির্মাণের কথা ঘোষণা করেন। সেই মোতাবেক গতকাল ছাতনার জামথোল গ্রামে এই ব্রিজটির আনুষ্ঠানিকভাবে নারকেল ফাটিয়ে সেতুর কাজের উদ্বোধন করলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী, রাজ্য পর্যটন উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যান সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়। উপস্থিত ছিলেন জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি পরিতোষ কিস্কু, জেলা পরিষদের কৃষি কর্মাধ্যক্ষ বিশ্বরূপা সেনগুপ্ত,ছাতনা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি বঙ্কিম মিশ্র সহ অন্যান্যরা। দীর্ঘ আন্দোলন, অবশেষে ব্রিজ হওয়ায় খুশি বিরোধীরাও। অভিনন্দন জানিয়েছেন বর্তমান রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগকে।
সেতুর দাবিতে ভোট বয়কট করে নির্দল প্রার্থী হয়েছিলেন গ্রামের যুবক, অবশেষে স্বপ্ন পূরণ
RELATED ARTICLES