মৌ বন্দ্যোপাধ্যায়,দুর্গাপুরঃ জমির অভাবে আটকে রয়েছে ইসিএলের পুনর্বাসন প্রকল্প। যদিও ইতিমধ্যেই ১০ হাজার আবাসন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু প্রয়োজন আরো বেশি। ইসিএলকে জমি দেওয়ার আবেদন করেছে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ইসিএলের ধস কবলিত এলাকার বাসিন্দাদের পুনর্বাসন শুরু করে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ। কোল ইন্ডিয়া বছর দুই আগে এই পুনর্বাসন প্রকল্পের জন্যে আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদকে ৫৮১.১৫ কোটি টাকা দেয়। শেষ মার্চ মাসে মেলে ৩০০ কোটি টাকা। সেই অর্থে জমি কিনে রাজ্য আবাসন দফতরের দিয়ে তৈরি হচ্ছে আবাসন। ১০,১৪৪ টি আবাসন তৈরি হচ্ছে। অন্ডালের দক্ষিণখন্ডে ৫,৬০০, বারাবনির দাসকেয়ারি ১ এ ৮৮০, দাসকেয়ারি ২ এ ১৮৭২ ও জামুড়িয়ার বিজয়নগরে ১৭৯২ টি আবাসন তৈরি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই জামুড়িয়ার বিজয়নগরে ১৬০ টি আবাসন ২০২১ সালেই তুলে দেওয়া হয়েছে জামুড়িয়া ব্লকের শ্রীপুরের ছাতিমডাঙার ১৬০ টি পরিবারের হাতে। সাম্প্রতিক ধস কবলিত হরিশপুরের ৩৮৩ টি পরিবারকেও পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় আনা হয়েছে। যারা ওখানের স্থায়ী বাসিন্দা নন এমনই ৩৮৩ জনকে তাঁদের দক্ষিণখন্ডের আবাসন তুলে দেওয়া হবে বলে এডিডিএয়ে সূত্রে জানা গিয়েছে। দক্ষিণখন্ডের ৪৮০ টি আবাসনে হরিশপুর ছাড়াও অন্ডালের কাজোড়ার ধাঙরপাড়ার ৭৯, রানিগঞ্জের গাঁগরডাঙার ১৪টি পরিবারকে আবাসন বন্টন করবে এডিডিএ কর্তৃপক্ষ। ইসিএলের ধস কবলিত সমস্ত পরিবারকেই পুনর্বাসন দেওয়ার পরিকল্পনা নিয়েছে এডিডিএ। কিন্তু এ ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জমি। এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত ২২,৬৬৮ অবৈধ দখলদার, আইনত বসবাসকারী ৬১০১ ও সংস্থাগত ২২২ জন সহ মোট ২৮,৯৯১ পরিবারকে পুনর্বাসন দিতে ১৪৬.১৫ হেক্টর জমির প্রয়োজন। বেআইনি দখলদারদের পুনর্বাসনের জন্যে ২৮৬.২৫ ও আইনত বসবাসকারীদের জন্যে ১৫০.৭৯ একর জমির প্রয়োজন। জমি পাওয়া গেছে মাত্র ১৫৫.৮৪ একর। ইসিএল দিয়েছে ৩০.৮১ একর, এডিডিএ ১৫৫ কোটি টাকা দিয়ে ৮৯.৫০ একর রাজ্য সরকার দিয়েছে ৪০.৫৫ একর জমি। তাহলে বাকি জমি আসবে কোথা আসবে? এই ব্যাপারে এডিডিএয়ের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ” সবাইকে পুনর্বাসন দিতে জমি লাগবে। আমরা পুনর্বাসন দিতে প্রস্তুত। ইসিএলকে বলেছি তাদের বহু জমি পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সেই জমি আমাদের এই প্রকল্পের জন্যে দিয়ে দেওয়া হোক।”
জমি নেই,আটকে ইসিএলের পুনর্বাসন প্রকল্প
জমির অভাবে আটকে রয়েছে ইসিএলের পুনর্বাসন প্রকল্প। যদিও ইতিমধ্যেই ১০ হাজার আবাসন তৈরির কাজ চলছে। কিন্তু প্রয়োজন আরো বেশি।
RELATED ARTICLES