Monday, November 25, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গব্যাংকে চাকরি চক্র, বর্ধমানে ধৃত আরো এক

ব্যাংকে চাকরি চক্র, বর্ধমানে ধৃত আরো এক

নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান : বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে যুবকের সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শক্তিগড় থানার পুলিস। ধৃতের নাম শুভজিৎ ঘোষ। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার বিরাটি শিবাচল মন্দির রোডে তার বাড়ি। শনিবার রাতে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে পুলিস সুদীপ ভট্টাচার্যকে গ্রেপ্তার করে। নিমতা থানা এলাকাতেই তার বাড়ি। আদালতে পেশ করা হলে বিচারক তাকে ৬ দিনের পুলিসি হেফাজতে পাঠানোর নিের্দশ দেন। হেফাজতে থাকা সুদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনায় শুভজিৎ-এর জড়িত থাকার বিষয়ে জানতে পারে পুলিস। সুদীপকে জালিয়াতির কাজে শুভজিৎ নিয়োগ করে বলে জানা গিয়েছে। শুভজিৎ এর কাছ থেকে ৬টি সিমকার্ড বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তার মোবাইলও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিস। ধৃতকে রবিবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। জালিয়াতিতে ব্যবহৃত আরও সিমকার্ড এবং হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে ও গ্যাংয়ের বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৫ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৪ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।
পুলিস জানিয়েছে, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরেরদিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। এরপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় বেকার অর্ঘ্য প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা ও লোকজনের কাছ থেকে ধার করে কয়েক দফায় ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে জমা করেন। তারপরও তাঁর চাকরি হয়নি। উল্টে তাঁকে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ হয় অর্ঘ্যর। তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিস। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারায় সাইবার থানার টেকনিক্যাল সাহায্য নেয়। ফোন নম্বর ও অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। সেই সূত্র ধরেই প্রতারকদের হদিশ পেয়েছে পুলিস।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments