নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান : স্ত্রীর কাছে মোবাইল না পেয়ে অশান্তির জেরে এক ব্যক্তি আত্মঘাতী হয়েছেন। সোমবার দুপুরে ঘরে বাঁশের কাঠামোয় স্ত্রীর ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। ওড়না কেটে নামিয়ে তড়িঘড়ি তাঁকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আনা হয়। চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতের নাম রাজু রায় (৩৬)। মেমারি থানার স্বস্তিপল্লিতে তাঁর বাড়ি। বর্তমানে তিনি মেমারি থানারই পালশিটে পরিবার নিয়ে থাকতেন। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজুর স্ত্রী মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এনিয়ে রাজুর সন্দেহ হয়। ঘটনার দিন রাজু তাঁর স্ত্রীর কাছে মোবাইল চান। কিন্তু, স্ত্রী তাঁকে মোবাইল দিতে রাজি হননি। এনিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ব্যাপক অশান্তি হয়। তারপর রাজুর স্ত্রী বাপেরবাড়ি চলে যান। ঘটনার পরেই রাজুর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে প্রাথমিকভাবে পুলিসের অনুমান। একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বর্ধমান থানার পুলিস। অন্য একটি ঘটনায় খণ্ডঘোষ থানার ওয়ানিয়া গ্রামে এক যুবকের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে বাড়ির পাশে গোয়ালঘরে বাঁশের কাঠামোয় দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তাঁকে ঝুলতে দেখেন পরিবারের লোকজন। খবর পেয়ে পুলিস দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। মৃতের নাম মোহর ঘোষ (২৯)। পারিবারিক অশান্তির কারণে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন বলে পরিবারের দাবি। অপর একটি ঘটনায় বর্ধমান রামপুরহাট রেলপথে পিচকুরি ঢাল স্টেশনের কাছে ট্রেন থেকে পড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম ফারাদ শেখ (৪১)। বীরভূমের রামপুরহাটে তাঁর বাড়ি। তিনি কর্মসূত্রে মুম্বইয়ে থাকতেন। জিআরপি সূত্রে জানা গিয়েছে, তিনি ট্রেনে চেপে মুম্বইয়ের যাচ্ছিলেন। রামপুরহাট থেকে ট্রেনে বর্ধমানে আসার পথে পিচকুরি ঢালের কাছে আচমকা তিনি পড়ে যান। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। জিআরপি দেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়।
স্ত্রী মোবাইল দিলনা, বর্ধমানে আত্মঘাতী স্বামী
RELATED ARTICLES