নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ এতদিন ব্যাট ধরেছেন, রান করছেন। বলও করেছেন দলের প্রয়োজনে। এবারে দলের প্রয়োজনেই ছান্তা ধরলেন।ভাজলেন ল্যাংচা। প্রচারে বেরিয়ে কত কান্ডই না করতে হচ্ছে প্রার্থীদের। কীর্তি আজাদও কম যান না। একে তো প্রবল গরমে গ্রামের পর গ্রাম পাল্লা দিয়ে প্রচার চলছে। তার উপর দলের কর্মীদের আবদারে নানা রূপে অবতীর্ণ হচ্ছেন। কখনো ঢোল বাজাচ্ছেন। কখনো নাচছেন। কোথাও হিন্দি গানের সুরে। কোথাও আদিবাসী ধামলা মাদলের সাথে। দিলীপ ঘোষের সাথে পাল্লা দিয়ে চায়ের দোকানেও যেতে হচ্ছে। বানাতে হচ্ছে চা। বুধবার বর্ধমান-দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী কীর্তি আজাদ শক্তিগড় আর বড়শুলে প্রচারে আসেন। একের পর এক এলাকায় প্রচারের ফাঁকে জাতীয় সড়কের ধারে শক্তিগড়ে আসেন। এখানে সার দিয়ে রাস্তার দুধারে ল্যাংচার দোকান। সেখানে প্রচারের ফাঁকে একটি দোকানে ঢুকে ল্যাংচা ভাজতেও দেখা গেল তাকে। এই ঘটনায় খুশি দোকানের মালিক সুব্রত দত্ত। তার কথায়, “ আমার বেশ ভাল লেগেছে ব্যাপারটা। এখানে কোনো দোকান উত্তমকুমার খ্যাত, কোনও দোকানে আবার প্রসেনজিৎ এসেছেন।এবারে আমিও বলতে পারব আমার দোকান কীর্তি আজাদ খ্যাত। আমার দোকানের প্রচার বাড়বে”। প্রচারের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট বাড়বে কী না,হাতছাড়া আসন পুনরুদ্ধার হবে কী না,সে উত্তর ভবিষ্যত বলবে। তবে প্রচারে বের হয়ে প্রার্থীরা সব ধরনের মানুষেরই নজর কাড়তে আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
ফের কীর্তি আজাদকে কটাক্ষ দিলীপ ঘোষের
কীর্তি আজাদ ল্যাংচা ভেজেছেন। তা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বললেন,’আরো অনেক কিছু করবেন উনি। চায়ের দোকান দখল করে বসে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেসের লোকেরা। এরপর সীতাভোগ বানাবেন। ওনাকে জিজ্ঞেস করুন, কদমা চেনেন? নাটক করে কিছু হয় না। সারা বছর লোকের সাথে থাকতে হয়।’ আপনার বংশ আছে কী না তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কীর্তি আজাদ। এই নিয়ে প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘উনি অনেক কিছু বলবেন। দিদি বিয়াল্লিশটা জিতবেন বলছেন। আগে নিজে জিতে দেখান।’ এদিন দিনভর গলসীর নানা এলাকায় প্রচার সারেন দিলীপ। কুদরুকি গ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। তাকে প্রশ্ন করা হয়- সিউড়িতে পুরসভায় বলা হয়েছে ভোট না দিলে চাকরি যাবে। তার জবাব- সে তো এমনিই যাবে। চাকরি পেতে ওরা যে টাকা নিয়েছে তাই ফেরত পায়নি। এই লোকগুলোই তৃণমূলকে রাস্তায় ঘিরবে।