সংবাদদাতা, পুরুলিয়াঃ লোকসভা ভোটের নির্ঘণ্ট প্রকাশের আগেই বিজেপি ও তৃণমূলের কৌশলী লড়াই শুরু গেল পুরুলিয়ায়। সাংসদ তহবিল থেকে নির্মিত গ্রন্থাগার ভবনের উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা প্রকাশ্যে এলো সাঁওতালডিতে। রঘুনাথপুর ২ ব্লকের অন্তর্গত সাঁওতালডি কলেজের এই গ্রন্থাগার ভবনটি নির্মিত হয় সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতোর তহবিল থেকে। ২০২৩- ২০২৪ আর্থিক বর্ষের ১০ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই একতল ভবনের রূপায়ণ করে রঘুনাথপুর ২ পঞ্চায়েত সমিতি। আজ অনাড়ম্বরভাবে নিজের উদ্যোগে স্থানীয় বিধায়ক নদিয়ার চাঁদ বাউরিকে সঙ্গে নিয়েই ফিতে কাটলেন সাংসদ জ্যোতির্ময় সিং মাহাতো। অনুপস্থিত থেকে বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ হেয় করেছে বলে অভিযোগ। কলেজের অধ্যক্ষ, অধ্যাপকরা বাতানুকুল কক্ষে সময় কাটালেন ওই সময়। কলেজ কর্তৃপক্ষের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন সাংসদ জ্যোতির্ময়। তিনি ওই ভবন উদ্বোধনের পরই বলেন, “কলেজ কর্তৃপক্ষের আবেদনের ভিত্তিতে ক্যান্টিনের জন্য ওই ভবনটি নির্মিত হয়। এসে দেখি লাইব্রেরী করা হয়েছে। বিষয়টি খুবই ভালো। তবে আমাকে একটি বারের জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষ জানায় নি। তৈরির পর ভবনটি চালু না হওয়ায় উদ্বোধন করি। তার আগে কলেজ কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানায়। কিন্তু; আজকে কলেজের অধ্যক্ষ এড়িয়ে গিয়ে খানিকটা পরোক্ষভাবে জনপ্রতিনিধিদের অপমান করেছেন। ইনি কলেজের উন্নয়ন চান না। এখানে শাসক দলের হয়ে কাজ করছেন তাতে উন্নয়ন জলাঞ্জলী দিয়ে।” সঙ্গে থাকা স্থানীয় বিধায়ক বলেন, “রাজনীতির ময়দানে কলেজ কর্তৃপক্ষ নেমেছে। এটা কী ধরনের আচরণ যেটা শিক্ষার্থীদের সমস্যায় ফেলে?” কলেজের চত্বরেই নিজেদের লাইব্রেরী হিসেবে চালু করে দেওয়া ভবনের বিষয়টি সম্পর্কে জানেন না অধ্যক্ষ নবনীতা দত্ত। তিনি বলেন, “আমি দু’মাস আগে এখানে যোগ দিয়েছি। আমি কিছুই জানি না। আজকে কী হয়েছে সেটাও জানি না।” কলেজের গভর্নিং বডির সভাপতি তৃণমূলের পাড়া ব্লক সভাপতি এবং প্রাক্তন বিধায়ক উমাপদ বাউরি বলেন, “উদ্বোধনের বিষয়ে আমাদের কিছুই জানানো বা অনুমতি নেওয়া হয় নি।”
সাংসদ তহবিল থেকে নির্মিত গ্রন্থাগার ভবনের উদ্বোধনকে ঘিরে রাজনৈতিক তরজা
RELATED ARTICLES