নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: রাজ্যের প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক গ্রেপ্তার হতেই বর্ধমানের অপর এক ব্যবসায়ীর দিকে নজর আমজনতার। যিনি মন্ত্রীর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। মন্ত্রী গ্রেপ্তার হতেই প্রশ্ন উঠেছে, যে সময় তিনি খাদ্যমন্ত্রী ছিলেন সেই সময় কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগণা, নদিয়া,জলপাইগুড়ি জেলায় প্রচুর পরিমাণে যে ভুয়ো রেশন কার্ডে মাল উঠেছে সেগুলি গেল কোথায়? খেল কে? নয় নয় করে প্রায় ২ কোটিরও বেশি কার্ড বাতিল হয়েছে গোটা রাজ্য জুড়ে, বর্ধমান জেলায় প্রায় ৫ লক্ষ এই ভুয়ো কার্ডের মাল গেল কোথায়? একাধিক সংগঠনের শীর্ষে থাকার সুবাদে এই ব্যবসায়ীর সঙ্গে দোসর ছিলেন নদীয়া, কলকাতা, ২৪ পরগনার আরও ৩ জন? মন্ত্রী গ্রেপ্তার হতেই তাদেরও র্যাডারে আনার দাবী উঠতে শুরু করেছে। জানা গেছে বর্ধমানের ওই ব্যবসায়ী রাজ্যস্তরের রেশন সংক্রান্ত একটি সংগঠনের কর্তা ছাড়াও আরও কয়েকটি সংগঠনে প্রভাবশালী হিসাবে রয়েছেন দীর্ঘকাল যাবত। আর খোদ মন্ত্রীও এই ব্যবসায়ীর কথামতই বিভিন্ন কাজ করেছেন, টেন্ডার পাইয়ে দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। খোদ রেশন ডিলারদের একাংশ অভিযোগ করছেন, বিভিন্ন উত্সবে কেন্দ্র সরকার যে মানের রেশনের মাল সরবরাহ করেছেন তা বদলে দিয়ে নিম্নমানের মাল দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রেও ওই ব্যবসায়ীর হাত ছিল বলে অভিযোগ। এমনকি রেশনে যে আটা দেওয়া হয় তা পরিমানে কম দেওয়ার পরিকল্পনাতেও নাকি ছিলেন এই ব্যবসায়ী। এমনকি ইডির হাতে ধৃত বাকিবুরের সঙ্গেও এই ব্যবসায়ীর ঘনিষ্টতা ছিল বলে সূত্রের দাবী। স্বাভাবিক ভাবেই জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের গ্রেপ্তারের পরই বর্ধমানের ওই ব্যবসায়ীর দিকেই নজর গোটা জেলাবাসীর। এরই পাশাপাশি বর্ধমান সম্মিলনী নামে যে সংস্থা গড়ে উঠেছে এবং কলকাতার সল্টলেকে বর্ধমান সম্মিলনীর যে আবাসন তৈরীর কাজ চলছে সেই সংস্থার উপদেষ্টার পদ থেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে সরানোর দাবী উঠেছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
মন্ত্রী গ্রেপ্তার হতেই বর্ধমানের এক ব্যবসায়ীকে নিয়ে চর্চা তুঙ্গে
RELATED ARTICLES