নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ বুকে ব্যাথার চিকিৎসা করাতে গিয়ে চিকিৎসকের পরামর্শে ডায়গনোস্টিক সেন্টারে ইসিজি করাতে গিয়ে শ্লীলতাহানির শিকার হলেন এক মহিলা। থানায় অভিযোগ দায়ের হতেই ফেরার অভিযুক্ত ডায়গনোস্টিক সেন্টারের মালিক। বাঁকুড়ার তালডাংরার এই ঘটনা সামনে আসতেই শুরু হয়েছে হইচই। অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবীতে সরব হয়েছেন নিগৃহিতার পরিবার। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁকুড়ার ওন্দা থানার নাকাইজুড়ি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার এক মহিলার বুকে ব্যাথা হওয়ায় তিনি তালডাংরায় এক চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে যান। চিকিৎসক তাঁকে ইসিজি করিয়ে আনার পরামর্শ দিলে ওই মহিলা স্বামীকে নিয়ে তালডাংরা বাজারে মেসার্স নিউ মা কালী নামের একটি ওষুধের দোকানে যান। ওই দোকানের মালিক মৃণাল কান্তি ভুঁই ওষুধ দোকান চালানোর পাশাপাশি একটি ডায়গনোস্টিক সেন্টার চালান। অভিযোগ ইসিজি করে দেওয়ার নাম করে ওই মহিলাকে ওষুধ দোকানের পাশের একটি ঘরে ঢুকিয়ে প্রায় ১৫ মিনিট ধরে তাঁর শ্লীলতাহানি করেন মৃণাল। নিগৃহিতা প্রতিবাদ করলেও সে কথায় কান দেয়নি মৃণাল। পরে নিগৃহিতা দোকান থেকে বেরিয়ে এসে গোটা ঘটনাটি জানান তাঁর স্বামীকে। এরপর ওষুধ দোকানের মালিকের নামে তালডাংরা থানায় শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা। এদিকে এই ঘটনার পরই এলাকা জুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। পরিস্থিতি বুঝে দোকান বন্ধ করে গা ঢাকা দেয় অভিযুক্ত। নিগৃহিতা ও তাঁর স্বামীর দাবী এই প্রথমবার নয়, ডায়গনোস্টিক সেন্টারের ওই মালিক এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন মহিলাকে ইসিজি করার নামে একটি আলাদা রুমে ঢুকিয়ে শ্লীলতাহানি করেছে। একাধিকবার থানায় অভিযোগও হয়েছে। ওই ডায়গনোস্টিক সেন্টারে নিয়ম বিরুদ্ধ ভাবে কোনো মহিলা কর্মী না রেখে এভাবেই মহিলাদের ইসিজি করা হয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। মহিলা কর্মীর উপস্থিতি ছাড়া এক মহিলার ইসিজি করার অভিযোগ স্বীকার করে নিলেও তাঁকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ অস্বীকার করেছেন অভিযুক্তর স্ত্রী। তাঁর দাবী ব্যবসায়িক হিংসার কারনেই তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে এই মিথ্যা অভিযোগ আনা হচ্ছে।
ইসিজি করাতে গিয়ে ডায়গনোস্টিক সেন্টারে শ্লীলতাহানির শিকার এক মহিলা
RELATED ARTICLES