নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: দীর্ঘ ১৩ মাস ধরে জেল বাসের পর অবশেষে জামিনে মুক্তি পেলেন তালডাংরার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র। জামিন পেয়ে গতকাল রাতে তিনি বাঁকুড়ায় ফেরেন। ২০১০ সালের ২৯ জুন তালডাংরার
তৃণমূল কর্মী মদন খাঁ খুনের ঘটনায় মনোরঞ্জন পাত্রকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় বাঁকুড়া জেলা আদালত। সেই রায়কেই চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে মামলা করেন মনোরঞ্জন পাত্র। শেষ পর্যন্ত ওই মামলায় তাঁর জামিন মঞ্জুর করে হাইকোর্ট। জেল থেকে বেরিয়ে মনোরঞ্জন পাত্র জানালেন দলের সঙ্গেই তিনি আছেন। আগামীদিনে দল যে দায়িত্ব দেবে সেই দায়িত্বই তিনি পালন করবেন। বাঁকুড়ার তালডাংরা বিধানসভায় তিন বার বিধায়ক হিসাবে জয়ী হন মনোরঞ্জন পাত্র। রাজ্যে পালাবদলের সময় ২০১১ সালেও তিনি ওই আসনে জয়ী হন। ২০১০ সালে তালডাংরার রাজপুর গ্রামে খুন হন তৃনমূল কর্মী মদন খাঁ। ৩০ জুন মদন খাঁ খুনে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত থাকার অভিযোগ ওঠে তৎকালীন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রর বিরুদ্ধে। ওই মামলাতেই ২০২২ সালের ২১ ডিসেম্বর যাবজ্জীবন কারাদন্ডের নির্দেশ দেয় বাঁকুড়া জেলা আদালত। প্রথমে তাঁকে রাখা হয় দমদম সেন্ট্রাল জেলে। ২০২৩ এর ১৫ জুলাই তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হয়। নিম্ন আদালতের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাইকোর্টে আবেদন জানায় সিপিএম। মনোরঞ্জন পাত্রর পক্ষে আদালতে সওয়াল করেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। অবশেষে হাইকোর্ট গত ২২ জানুয়ারি মনোরঞ্জন পাত্রর জামিন মঞ্জুর করে। নথিপত্র তৈরী করার পর গতকাল তাঁকে বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। গতকাল সন্ধ্যায় তিনি বাঁকুড়ায় ফেরেন। সিপিএম এর জেলা কার্যালয়ে তাঁকে স্বাগত জানান সিপিএম এর জেলা নেতৃত্ব। মনোরঞ্জন পাত্রর দাবী বিষয়টি বিচারাধীন। তাই সে সম্পর্কে তিনি বিশদে কিছু বলবেন না। তবে তাঁর স্পষ্ট জবাব তিনি দলের সঙ্গেই আছেন। দল যে দায়িত্ব দেবে আগামীদিনে তিনি তা পালন করবেন। তালডাংরার বর্তমান তৃনমূল বিধায়ক অরুপ চক্রবর্তী বলেন আদালতের নির্দেশেই মনোরঞ্জন পাত্র জামিন পেয়েছেন। অভিযোগের সত্য মিথ্যার প্রশ্ন এড়িয়ে তাঁর দাবী এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের যুক্ত না থাকাই সমীচীন।
১৩ মাস জেলবাসের পর বাড়ি ফিরলেন বাঁকুড়ার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র
RELATED ARTICLES