নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ প্রতিশ্রুতি পূরণ না হওয়ায় এবার ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারী বিধানসভার বাগিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের দিলালপুর সহ প্রায় ৫টি গ্রামের বাসিন্দারা। তারা একত্রিত হয়ে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন।এলাকায় একটি কাঠের পুলের সংস্কার না হওয়ায় তাদের এই ক্ষোভ। শুধু ভোট বয়কটের ডাক নয়, এলাকায় রাজনৈতিক প্রচার বন্ধ করে দিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দিলালপুর অঞ্চলের মানুষজন। রবিবার সন্ধ্যায় বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী শর্মিলা সরকারের সমর্থনে প্রচারে যায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা। দিলালপুরে গেলে গ্রামবাসীরা মিলিত হয়ে প্রচারে বাধা দেন।তারা পরিস্কার জানিয়ে দেন,তাদের দাবী পূরণ না হলে তারা ভোট দেবেন না।স্থানীয় বাসিন্দা অমর ঘোষ বলেন, একের পর এক ভোট যায়।লোকসভা ভোটের পর বিধানসভা ভোট।তারপর পঞ্চায়েত ভোট। সব ভোটই পার হয়।কিন্তু এলাকার দাবী মতো এখানকার ব্রীজের কাজ হয় না। নির্বাচনের আগে মেলে প্রতিশ্রুতি। কিন্তু ভোট চলে গেলে কার্যত জনপ্রতিনিধি কিংবা নেতৃত্ব, কারোরই টিকি খুঁজে পাওয়া যায় না। দিলালপুর হয়ে মেমারী আসার একমাত্র রাস্তা এই কাঠের ব্রীজ। তৎকালীন বাম আমলে এই কাঠের ব্রীজ তৈরী হলেও হয়নি কোন রক্ষনাবেক্ষণ। এখন তা ভগ্নপ্রায়।যে কোন সময় ভেঙে পড়তে পারে।ঝুঁকি নিয়েই চলছে পারাপার। এই পরিপ্রেক্ষিতে ভোট বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন গ্রামবাসীরা। দিলালপুর সহ তার পার্শ্ববর্তী আরও পাঁচ থেকে ছ’টি গ্রামের মধ্যে নেই কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচার কর্মসূচির ব্যানার। দেওয়াল লিখন থাকলেও তা মুছে দেওয়া হয়েছে। ভোট বয়কটে অংশগ্রহণ করছেন এলাকার মানুষজন। ইতিপূর্বে একাধিকবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিপদজনক হিসেবে চিহ্নিত করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল প্রায় ১২ বছরেরও বেশি সময় ডিভিসি সেচ খালের উপর দাঁড়িয়ে থাকা কাঠের ব্রিজ। সময়ের সাথে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে এই কাঠের সেতুটি। বয়সের ভারে কার্যত ধুঁকছে। স্কুল পড়ুয়া থেকে সাধারণ মানুষ কিংবা মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে যাওয়া কোন জরুরী ভিত্তিকালীন রোগী এই কাঠের ব্রিজের উপর দিয়েই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করেন। মেমারি ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তথা জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ নিতাই ব্যানার্জী বলেন, অমর ঘোষ আগে বিজেপি করতেন।এখন নাগরিক সেজেছেন।ওই এলাকায় ঢালাই রাস্তা তৃণমূল করেছে। ক্লাবগুলোকে দুর্গাপুজোয় টাকা দেয় তৃণমূল। এলাকায় পানীয় জলের জন্য পাইপ ঢুকিয়েছে তৃণমূল। আর অমর ঘোষের পরিবার সবুজসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষক বন্ধু সবই পায়। ব্রীজের সমস্যা আমরা জানি।ইতিমধ্যেই তার প্রক্রিয়া চলছে। কেন্দ্রীয় সরকারের ছাড়পত্রের ব্যাপার আছে।কারণ ডিভিসির সেচ খালের উপর ব্রীজ হবে। এখন যদি অমর ঘোষ নিজের টাকায় ব্রীজ করতে পারেন তাহলে ভোট বয়কট করুন।ব্রীজ তৃণমূলই করবে। তাই উচিত ভোট দেওয়া।
ভোট বয়কটের সিদ্ধান্তে অনড় গ্রামবাসীরা প্রচারে আসা তৃণমূল কংগ্রেসকে ফিরিয়ে দিল
RELATED ARTICLES