কলকাতা,১০ জানুয়ারীঃ নতুন বছরের শুরুতেই দলের দুই হেভিওয়েট নেতা শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করল তৃণমূলের শৃঙ্খলা রক্ষা কমিটি। দলবিরোধী কাজের অভিযোগে তাদের সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে এদিন জানিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সহ-সভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার। তবে,কতদিনের জন্য এই শাস্তি সেবিষয়ে কিছু জানানো হয়নি। উল্লেখ্য,এর আগেও একবার ৬ বছরের জন্য ভাঙড়ের প্রাক্তন বিধায়ক আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করা হয়েছিল। পরে অবশ্য সেই শাস্তি প্রত্যাহার করে আরাবুলকে দলে ফিরিয়ে নেয় শাসক দল। গত পঞ্চায়েত ভোটে জিতে আরাবুল ইসলাম পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যও হন। কিন্তু, গত পঞ্চায়েত ভোটে ভাঙড়ে হিংসা ছড়িয়েছিল। আইএসএফ কর্মীকে খুনের অভিযোগে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি আরাবুলকে গ্রেফতার করেছিল উত্তর কাশীপুর থানার পুলিশ। ৭ মাস পর জেল থেকে মুক্তি পান তিনি। এরপর তৃণমূল নেতা শওকত মোল্লার সঙ্গে তাঁর সংঘাত প্রকট হয়। নতুন বছরের প্রথমদিনই আরাবুলের ওপর হামলার অভিযোগও ওঠে শওকতের বিরুদ্ধে। খুনের চেষ্টার অভিযোগ দায়ের করেন আরাবুল। শেষপর্যন্ত দলবিরোধী কাজের অভিযোগে আরাবুল ইসলামকেই সাসপেন্ড করল রাজ্যের শাসক দল। অন্যদিকে আরজি কর কাণ্ডের পর মুখ খুলেছিলেন তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা চিকিৎসক নেতা শান্তনু সেন। নিশানা করেন হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। প্রশ্ন তুলেছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যক্ষেত্রের নানা বিষয়ে। এরপরই তৃণমূলের মুখপাত্র পদ থেকে শান্তনুকে সরিয়ে দেওয়া হয়। আর জি করের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এবার দল থেকেই তাঁকে সাসপেন্ড করে দিল তৃণমূল নতৃত্ব। এই খবর জানার পর শান্তনু সেন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, “দলবিরোধী কোনও কাজ আমি করিনি। পেশার কাজের বাইরে শুধু তৃণমূলেরই কাজ করেছি। ইডি-সিবিআই আমার বাড়িতে হানা দেয়নি। আমার কোন কাজটি দলবিরোধী হিসাবে বিবেচিত হল,সেটাই বুঝতে পারছি না”। অন্যদিকে এনিয়ে আরাবুল ইসলামের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
শান্তনু সেন ও আরাবুল ইসলামকে সাসপেন্ড করল তৃণমূল
RELATED ARTICLES