দুর্গাপুর,২১ নভেম্বরঃ কলকাতার আরজি কান্ডের পর সরকারী হাসপাতালগুলির নিরাপত্তা ব্যবস্থা নতুন করে সাজানো হয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালেও বেসরকারী হাসপাতালের সাহায্যে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু তার মধ্যেই চিকিৎসাধীন এক রোগী নিখোঁজ হয়ে গেল এই সরকারী হাসপাতাল থেকে। স্বাভাবিকভাবেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর নেপাল থেকে দুর্গাপুরের রঘুনাথপুরে দিদির বাড়িতে এসেছিলেন শের ওম বাহাদুর নামে বছর চল্লিশের এক যুবক। এখানে তিনি অসুস্থ হয়ে পরলে পরের দিন অর্থাং থাকায় ১৮ নভেম্বর তাকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতলে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন শের বাহাদুরের সঙ্গে হাসপাতালে ছিলেন তার জামাইবাবু রাম শ্রেষ্ঠা। ১৯ তারিখ হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়ারও কথা ছিল। জামাইবাবু বেলা দশটার সময় হাসপাতাল থেকে একবার বাইরে গিয়েছিলেন। ফিরে এসে দেখেন শ্যালক বেডে নেই। এরপর সারা হাসপাতাল সহ আসপাশের সমস্ত এলাকায় খোঁজ করেও তাকে পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষও কিছু জানাতে পারেনি। এমনকি,হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে সিসি ক্যামেরার ফুটেজও দেখাতে চায়নি বলে অভিযোগ। শেষ পর্যন্ত দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানায় দায়ের করা হয়। রোগির দিদি মায়া শ্রেষ্ঠা অভিযোগ করেছেন, ভাইকে হাসপাতালে ভর্তি করেছিলাম চিকিৎসার জন্য। কিন্তু এভাবে নিখোঁজ হয়ে যাওয়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে চেয়েছি। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন সিসি ক্যামেরা খারাপ। তাই পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছি। তিনি হাসপাতালে নিরাপত্তার গাফিলতিকেই দায়ী করেছেন। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডক্টর ধীমান মন্ডল এই ঘটনা স্বীকার করে বলেছেন,১৯ তারিখ রোগীকে ছুটি দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেই রোগী হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে চলে গেছে। আমরাও পুলিশকে জানিয়েছি। পুলিশ তদন্ত করছে। পুলিশ চাইলে সিসি ক্যামেরা দেখে তদন্ত করুক।
কড়া নিরাপত্তার মধ্যেও দুর্গাপুরে সরকারী হাসপাতাল থেকে রোগী নিখোঁজ
RELATED ARTICLES