সার্থক কুমার দে,লাউদোহাঃ লোকসভা উপনির্বাচনে গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় শাসকদলের লিড ছিল ১১ হাজারের বেশি। এবার সেই মার্জিন ছাপিয়ে যাওয়া চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের। লক্ষ্যে পৌঁছাতে বড় জনসভার পরিবর্তে বাড়ি বাড়ি প্রচার,পাড়ায় পাড়ায় ছোট মিটিংয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে বলে জানান দলের অঞ্চল সভাপতি। ২০২২ সালে হয়েছিল আসানসোল লোকসভার উপনির্বাচন। সেই নির্বাচনে তিন লক্ষের বেশি ভোটে জিতে সাংসদ নির্বাচিত হন তৃণমূলের প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা। সাতটি বিধানসভা নিয়ে আসানসোল লোকসভা। পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভা থেকে বাই ইলেকশনে এক লক্ষেরও বেশি মার্জিন ছিল শাসকদলের। বিধানসভার অন্তর্গত বারোটি পঞ্চায়েত এলাকার মধ্যে তৃণমূল সবচেয়ে বেশি ভোটে (১০,৪১০) এগিয়ে ছিল গোগলা পঞ্চায়েত এলাকা থেকে। এবারের ভোটে সেই মার্জিন ধরে রাখাই এখন চ্যালেঞ্জ গোগলা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেস নেতৃত্বের। এই অঞ্চলে বিরোধী দল গুলির থেকে ধারে ভারে সবদিক দিয়ে এগিয়ে রয়েছে তৃণমূল। ত্রিস্তর গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই অঞ্চলে কোন ছাপ ফেলতে পারেনি বিরোধীরা। সাংগঠনিক শক্তির কারণেই এই অঞ্চলে তৃণমূল এতটা শক্তিশালী বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। শাসকদলের অঞ্চল সভাপতি গৌতম ঘোষ বলেন ৩৬৫ দিন সুখে দুঃখে আমরা এলাকার মানুষের পাশে থাকি। তাই এলাকার মানুষও রয়েছে আমাদের পাশে। এবার দলের লক্ষ্য কি প্রশ্নের উত্তরে গৌতম বাবু বলেন উপনির্বাচনের মার্জিন ছাপিয়ে যাওয়াই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য। প্রচারের বিষয়ে তিনি বলেন বড় মিটিং মিছিলের পরিবর্তে বাড়ি বাড়ি প্রচার আর পাড়াতে পাড়াতে মিটিং এর উপর জোর দিচ্ছে। ইতিমধ্যে তিনবার দলের কর্মীরা এলাকার প্রতিটি বাড়িতে গিয়েছে। গোগলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় রয়েছে ২২টি সংসদ আমাদের কর্মীরা প্রতিটি সংসদে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়ে ঘরোয়া বৈঠক করেছে। বাড়ি বাড়ি প্রচার আর সংসদ গুলিতে বৈঠকে দলের কর্মীরা রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ( লক্ষীর ভান্ডার, স্বাস্থ্য সাথী, বিনামূল্যে রেশন,কন্যাশ্রী ) জনমুখী প্রকল্পের কথা মানুষের সামনে কর্মীরা তুলে ধরছে। আগামী ১০ তারিখ এলাকায় একটি বড় মহা মিছিল করা হবে। প্রচারে এলাকায় মানুষের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। মার্জিনের যে লক্ষ্য আমাদের রয়েছে সেই লক্ষ্য পূরণে আমরা আশাবাদী বলে জানান গৌতমবাবু।
উপনির্বাচনের লিড ধরে রাখতে বাড়ি বাড়ি প্রচার,পাড়া মিটিং তৃণমূলের
RELATED ARTICLES