নিজস্ব প্রতিনিধি বর্ধমান: মেঘালয়ের মাওলিনং গ্রামের অনুকরণে গ্রাম সাজাতে উদ্যোগী হয়েছেন তারা। কিন্তু কীভাবে হল এই অসাধ্যসাধন? পূর্ব বর্ধমানের রায়না ২ ব্লকের নন্দনপুর গ্রামে মাতৃগৃহ নামে সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত ডক্টর ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য চৌধুরীর রেখে যাওয়া অর্থ ও ডাক্তার উদয় চৌধুরী এবং কয়েকজন গ্রামবাসীদের সাহায্যে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হলো রাস্তা সারাইয়ের কাজ। দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। মানুষজনের হাঁটাচলা করতে খুবই সমস্যায় পড়তে হতো। তাই মাতৃগৃহ নামক প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এবং তার প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর ইন্দ্রানী ভট্টাচার্য চৌধুরীর রেখে দেওয়া অর্থ সাহায্যের মাধ্যমে ই গ্রামে রাস্তা তৈরি শুরু হয়েছে। এছাড়াও গ্রামবাসী সহ বেশ কিছু ব্যক্তি অর্থ সাহায্য করেছেন। এই রাস্তা তৈরীর কাজে হাত লাগিয়েছেন গ্রামের মানুষজনও। ভালো করে খুঁড়ে সেখানে মোরাম দেওয়া থেকে শুরু করে সমস্ত কাজ হচ্ছে গ্রামবাসীদের সহযোগিতায়। নন্দনপুর সাধুর ঢাল থেকে ডাক্তার ঢাল পর্যন্ত এই রাস্তাটি তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়াও যে রাস্তাগুলি অবহেলিত রয়ে গিয়েছে সেই রাস্তাগুলিও নতুন করে তৈরি করা হচ্ছে। মেঘালয়ের সব থেকে পরিচ্ছন্ন গ্রাম মাওলিনং থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে নন্দনপুর গ্রামে। মাওলিনং গ্রামে সাধারণ মানুষ নিজেদের গ্রাম নিজেরাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রেখেছে আর তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে পঞ্চায়েত। সেই গ্রামের অনুকরণেই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নির্মল গ্রাম গড়ে তোলাই একমাত্র লক্ষ্য গ্রামবাসী সহ উদ্যোক্তাদের। তবে শুধুমাত্র পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাই নয় পাশাপাশি গ্রামে সবুজায়ন করতে বৃক্ষরোপণের কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আপাতত পশ্চিমবঙ্গের মধ্যে নন্দনপুর গ্রামকে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হিসেবে গড়ে তুলতে চাইছেন উদ্যোক্তারা। তারপর সারা ভারতবর্ষের মধ্যে সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন গ্রাম হওয়ার লক্ষ্যপূরণ করার ক্ষেত্রে তারা আশাবাদী বলে জানান ডাক্তার উদয় চৌধুরী। স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েত কে রাস্তা তৈরীর বিষয়ে জানানো হয়েছে। রাস্তা তৈরীর অনুমতি মেলার পাশাপাশি আগামীতে রাস্তা তৈরির কিছু খরচও দিয়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পঞ্চায়েত। কিছুদিনের মধ্যেই বর্ষাকাল শুরু হয়ে গেলে রাস্তা তৈরি করা আর হবে না। তাই দ্রুত রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানালেন অন্যতম উদ্যোক্তা স্বপন সেন। এই রাস্তা তৈরি হলে এলাকার সাধারণ মানুষ ভীষণভাবে উপকৃত হবেন বলে জানান গ্রামবাসীরা।
গ্রাম পঞ্চায়েত নয়, গ্রামবাসীরাই তৈরি করছেন রাস্তা
RELATED ARTICLES