বেবি চক্রবর্তীঃ চিত্তে পূর্ণ স্মৃতি স্বামীজির। সাধনার ছবি জপমালা প্রাণে ..দিবানিশি হে ভারত তুমি স্বর্গ তুমি জননী। প্রেমের হৃদয়ে ত্যাগ মন্ত্রে দীক্ষা লয়ে। গুরুপাদ পদ্মতলে তোমার সে পূণ্য ব্রতে মনোরথে চির দীপ্তি… হোমানল অগ্নিশিখা তিনি ভগিনী নিবেদিতা। যেন চোখের জলের কালী দিয়া না লিখিলে সে লেখা সম্পূর্ণ হয় না। ১৯০২ সাল ৪ঠা জুলাই স্বামীজীর পার্থিব জীবনের শেষ দিন —–সেই ঐতিহাসিক চিঠি-
My dear Nibedita,
The end has come. Swamiji has slept last night at nine.Never to rise again.
Yours faithfully ,
Swami Saradananda..
আজ সেই স্মরণীয় দিন ২৩ শে আগষ্ট ১৯০২ সাল। বিশ্ববরেণ্য সর্বত্যাগী সন্ন্যাসী স্বামী বিবেকানন্দ মাত্র তখন কিছু দিন হল জগতের মায়াবন্ধন ছিন্ন করে স্বধামে ফিরে গেছেন। রেখে গেলেন তাঁর মানসকন্যাকে বিস্তর দায়িত্বের বিশাল বোঝা কাঁধে চাপিয়ে। ভগিনী নিবেদিতা তাঁর স্বীয় কর্তব্যের সূচনার প্রকাশটি করলেন এইভাবে, ভারতবর্ষ তথা বিশ্বের সর্বপ্রথম বিবেকানন্দের নামাঙ্কিত স্মৃতি মন্দির সম্বলিত সোসাইটি গঠন করে। রামকৃষ্ণ ভাবান্দোলনে সংসারীদের জন্য নিবেদিতা গড়ে দিলেন এক অতুলনীয় গৃহী সংঘের। মাথার উপর বেলুড় মঠের অপার মার্গদর্শন ও সাহচর্য নিয়ে সংসারী যোদ্ধাদের ভগবতচর্চা কেন্দ্র। ৩৬৫ দিন ননষ্টপ পাঠচক্র। ভাষা শিক্ষা কেন্দ্র। কম্পুটার ট্রেনিং সেন্টার। অফুরন্ত প্রাচীন গ্রন্থ ভান্ডারের বিশাল লাইব্রেরি। ধ্যান কক্ষ সমেত ঠাকুরের মন্দির। আজ ১২২ বছরে পা দিল এই পবিত্র অধ্যাত্ম সেবা সংস্থা ভগিনী নিবেদিতার।