নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: জন্ম থেকে অসুস্থ শিশুর যত্ন নেওয়া নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অভিমানের জেরে আত্মঘাতি হলেন স্বামী ও স্ত্রী উভয়েই। বর্তমানে আড়াই মাসের ওই অসুস্থ শিশুর দেখভাল করছেন আত্মীয় স্বজনরা। মৃতদের নাম নয়ন দাস (২৪) এবং রিম্পা দাস (১৮)। মৃত নয়ন দাসের জামাইবাবু সুকুমার দাস জানিয়েছেন, শিশুটি অসুস্থ ছিলো, কিছুদিন হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলো। এখন বাড়িতে ছিলো। ৩ ঘন্টা অন্তর অক্সিজেন দিতে হতো শিশুটিকে। গত সোমবার স্বামী নয়ন দাস পুজোর জন্য শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল। এসে দেখেন ওনার স্ত্রী বাচ্চাটিকে অক্সিজেন ও ওষুধ দেননি। তানিয়ে নয়ন দু-চার কথা বলেন স্ত্রী রিম্পাকে। এরপরই অভিমানে স্ত্রী বেড়িয়ে গিয়ে বাড়ির ছাদে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এরপরই হাসপাতাল থেকে স্বামী নয়ন দাস বেড়িয়ে যান। তার আর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। ওইদিন রাত্রেও তার খোঁজ মেলেনি। পরের দিন মঙ্গলবার বর্ধমান রেল স্টেশনের কাছে একটি গাছে ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। সুকুমার বাবু জানিয়েছেন, নয়ন ও রিম্পা উভয়েই উভয়কে ভীষণ ভালবাসতো। এই ঘটনা সেই অভিমানেরই জের। এব্যাপারে রিম্পার কাকা বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের বহারপুর গ্রামের বাসিন্দা অজয় দাস জানিয়েছেন, ওই দিন সকালে রিম্পার মা ফোন করে জামাইকে জানিয়েছিলেন রিম্পাকে আনতে হবে না, তোমরা বাবা-মেয়ে চলে এসো। এরপরই জামাই শ্বশুর বাড়ি গিয়েছিল। খাওয়াদাওয়া করে বাড়ি ফেরেন। তারপর সন্ধ্যায় সন্তানকে অক্সিজনে দেওয়া, ওষুধ খাওয়ানো নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়। তার জেরেই এই ঘটনা।
সন্তানকে দেখভাল করা নিয়ে মতপার্থক্যে আত্মঘাতি স্বামী ও স্ত্রী
RELATED ARTICLES