নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: শিশু বিকাশ কেন্দ্রের ভবনকে রাতারাতি সবুজ রং দিয়ে তৃণমূলের পার্টি অফিস বানানোর ঘটনায় ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি হল বর্ধমানের লোদনা গ্রাম পঞ্চায়েতের বারিশালী গ্রামে। এই ঘটনায় ব্লক ও জেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেন গ্রামবাসীরা। গ্রামবাসী মনোরঞ্জন বটব্যাল, হারাধন রুইদাস প্রমুখরা জানিয়েছেন, ১৯৮৪ সালে গ্রামবাসী জগবন্ধু রায়দাস তত্কালীন লোদনা পঞ্চায়েতের প্রধান সামসের আলম সাহানাকে ৪ কাঠা জমি দান করেন সিপিএমের দলীয় অফিস করার জন্য। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এই সময় এই গ্রামে শিশু বিকাশ কেন্দ্র তৈরীর অনুমোদন মেলে। কিন্তু কোথাও কোনো জায়গা না পাওয়ায় সামসের আলম সাহানা জগবন্ধু রায়দাসকে রাজী করিয়ে ওই পার্টি অফিসের দক্ষিণ দিকে ২২ নং শিশু বিকাশ কেন্দ্রটি চালু করেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে এখানে শিশু বিকাশ কেন্দ্রটি চলার পর সম্প্রতি এই কেন্দ্রটি বারিশালী উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে চলে যায়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ফলে পার্টি অফিস সংলগ্ন শিশু বিকাশ কেন্দ্রটি বন্ধ হয়ে যায়। সেখানে গ্রামের কিছু উত্সাহী যুবক নাটক, যাত্রার মহড়া দিতে থাকেন। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, এদিন সকালে তাঁরা দেখেন ওই শিশু বিকাশ কেন্দ্রের দেওয়ালে সবুজ রং দিয়ে ”বারিশালী তৃণমূল কংগ্রেস কার্যালয় – বুথ ১১২/১১৩” লেখা হয়েছে। এটা দেখার পরই গ্রামে ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন, ৫ বছর আগে জগবন্ধু রায় দাস এবং ৫ মাস আগে সামসের আলম সাহানা মারা যান। এই অবস্থায় ওখানে তৃণমূলের পার্টি অফিস তৈরী হওয়ায় ব্যাপক শোরগোল শুরু হয়েছে। গ্রামবাসীরা চাইছেন, ওখানে গ্রামের সংস্কৃতি চর্চাকেন্দ্র তৈরী হোক। এদিকে, এই ঘটনায় এদিনই গ্রামবাসীরা জেলাশাসক, বিডিও সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে গণস্বাক্ষর সম্বলিত প্রতিবাদ পত্র দিয়েছেন। ব্লক প্রশাসন গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
শিশু বিকাশ কেন্দ্র রাতারাতি তৃণমূলের পার্টি অফিস খণ্ডঘোষে
RELATED ARTICLES