নিজস্ব প্রতিনিধি,দুর্গাপুরঃ বিগত দু বছর ধরে বেঙ্গালুরুর একটি বেসরকারী নার্সিং কলেজে পড়ছিল দুর্গাপুরের কাঁকসা ব্লকের গোপালপুরের উত্তরপাড়ার বাসিন্দা দিয়া মন্ডল। সেখানে পড়াকালীন প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যের দিকে মায়ের সঙ্গে ফোনে কিছুক্ষন কথাবার্তা বলত দিয়া। অন্যদিনের মতো শনিবার সন্ধ্যেবেলাও মায়ের সঙ্গে কথা হয় দিয়ার। কিন্তু, তার কয়েক ঘণ্টা পর বেঙ্গালুরুর ওই কলেজ থেকে দিয়ার এক বন্ধুর ফোন আসে যে দিয়া মারা গেছে। হস্টেল থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। হঠাৎ সেই ফোনের পর দিয়ার মা বিশ্বাসই করতে পারেননি এমন ঘটনা কীভাবে ঘটল আর কেনই বা ঘটল। কারন, কয়েক ঘন্টা আগে ফোনে কথা বলার সময় অন্য দিনের মতোই দিয়া স্বাভাবিক কথাবার্তা বলেছে। তাহলে এমন কি হতে পারে তা বুঝে উঠতে পারছে না পরিবার। পরে জানা যায় শনিবার রাতে বেঙ্গালুরুর হোস্টেলে দ্বিতীয় বর্ষের নার্সিং ছাত্রী দিয়া মন্ডলের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। এই ঘটনা জানার পরই গোপালপুরে উত্তরপাড়ায় শোকের ছায়া নেমে আসে। এলাকাবাসী জানান, দিয়া খুবই ভদ্র। ভালো ছাত্রী ছিল। খেলাধূলাতেও সে ভালো ছিল। তবে আর্থিকভাবে সচ্ছল ছিল না পরিবার। সেই কারণে সে কোনও মানসিক চাপে ভুগছিল,এমনটা হতে পারে বলে তাদের অনুমান। তবে আত্মহত্যা না খুন,তা নিয়ে উদ্বিগ্ন পরিবার। দিয়ার বাবা দেবাশীষ মন্ডল রান্নার কাজ করে কোন রকমে সংসার চালান। চরম আর্থিক সংকটের মধ্যেও মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে তাকে বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে পাঠিয়েছিলেন। তিনি বুঝতে পারছেন না কিভাবে এমন ঘটনা ঘটে গেল। পরিবারের একমাত্র মেয়ের এই মর্মান্তিক ঘটনার প্রকৃত কারন জানতে চায় দিয়ার মা। তাই তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে এই মৃত্যুর আসল কারন যাতে জানা যায় তার আর্জি জানিয়েছেন। প্রশাসনের কাছে তার অনুরোধ তারা যেন দিয়ার মৃত্যুর প্রকৃত কারন খুঁজে বের করেন।
বেঙ্গালুরুতে নার্সিং পড়তে গিয়ে অস্বাভাবিক মৃত্যু দুর্গাপুরের ছাত্রীর
RELATED ARTICLES