Sunday, November 24, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গআর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের...

আর জি কর কান্ডের প্রতিবাদে রাজ্যসভার সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিলেন তৃণমূলের জহর সরকার

বেবি চক্রবর্ত্তী,কলকাতা,৮ সেপ্টেম্বরঃ  আরজি কর-কাণ্ডে আগেই প্রতিবাদে সরব হয়ে আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়ান আর এক তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়। তাঁকে নিয়ে জল্পনা চলছে। এমন আবহে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখে নিজের ইস্তফা দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ জহর সরকার। সাংসদ পথে থেকে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছাও প্রকাশ করেছেন জহর। দীর্ঘদিন দিল্লিতে কাজের সুবাদে তিনি বেশ পরিচিত একটি নাম। কেন্দ্রীয় আমলা হিসেবে কাজ করার জন্য দিল্লির রাজনীতি তাঁর নখদর্পণে। ফলে এমন সাংসদ দল ছাড়লে স্বভাবতই কিছুটা হলেও চাপ বাড়বে শাসক দলের। রাজ্যসভার সাংসদ পদে ইস্তফা দেওয়ার পাশাপাশি রাজনীতি থেকেও নিজেকে সম্পূর্ণ ভাবে বিচ্ছিন্ন করছেন জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রীকে। তাঁর ইস্তফার জন্য যে কারণগুলি তিনি উল্লেখ করেছেন, তার মধ্যে অন্যতম হল আরজি করের ঘটনা এবং দূর্ণীতির প্রসঙ্গে সরকারের ভূমিকা নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। জহর সরকার এর আগেও তৃণমূল কংগ্রেসের বেশ কিছু বিষয় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। যা নিয়ে সৌগত রায়,কুণাল ঘোষ সহ অন্যান্য সাংসদদের সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন। সেই বিষয়টিও চিঠিতে উল্লেখ করেছেন জহর সরকার। তিনি জানান, সে সময়েই পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিতে চেয়েছিলেন, কারণ অপেক্ষা করে গিয়েছিলেন, কারণ সে সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাটমানির বিরুদ্ধে যে আন্দোলন-পদক্ষেপ করেছিলেন, তা নিরন্তর চালাবেন বলে ভেবেছিলেন। কিন্তু জহর সরকারের কথায়, তা হয়নি। এবার চিঠিতে জহর সরকার লিখেছেন, “মাননীয়া মহোদয়া, বিশ্বাস করুন এই মুহূর্তে রাজ্যের সাধারণ মানুষের যে স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন ও রাগের বহিঃপ্রকাশ আমরা দেখছি, এর মূল কারণ কতিপয় পছন্দের আমলা, দুর্নীতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের পেশীশক্তির আস্ফালন।” তিনি আরও লিখেছেন, “সরকারের কোনও বক্তব্যকেই মানুষ বিশ্বাস করছে না। পুরনো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো কেন ঝাঁপিয়ে পড়ে কথা বলছেন না।” এবিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আমরা এখন সবাই মিলে মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় এবং অভিষেকের নেতৃত্বে সৈনিকের মতো লড়াই করছি। তবে তার মানে এই না যে জহর সরকারের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করছি। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এই নিয়ে কোনও মতামত দিতে চাইছি না। জহর সরকারের কিছু কিছু বক্তব্য, কিছু কিছু পয়েন্টের সঙ্গে আমার মতো সৈনিকেরাও সহমত।’  

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments