নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমানঃ বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির আশ্বাস দিয়ে যুবকের সাড়ে ৪ লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে শক্তিগড় থানার পুলিস। ধৃতের নাম সুদীপ ভট্টাচার্য। উত্তর ২৪ পরগণার নিমতা থানার ২ নম্বর শ্রীকৃষ্ণপল্লিতে তার বাড়ি। সোমবার বর্ধমান শহরের বাদামতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনার সঙ্গে একটি বড়সড় চক্র জড়িত বলে পুলিসের অনুমান। ধৃতকে মঙ্গলবার বর্ধমান সিজেএম আদালতে পেশ করা হয়। হাতিয়ে নেওয়া টাকা উদ্ধার করতে এবং বাকি জড়িতদের হদিশ পেতে ধৃতকে ৭ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় পুলিস। ধৃতের ৬ দিনের পুলিসি হেফাজত মঞ্জুর করেন সিজেএম। পুলিস জানিয়েছে, কিছুদিন আগে শক্তিগড় থানার গাংপুরের যুবক অর্ঘ্য দাস একটি বেসরকারি ব্যাংকে চাকরির জন্য অনলাইনে আবেদন করেন। পরেরদিন তাঁর কাছে একটি ফোন আসে। তাঁর কাছ থেকে বিভিন্ন নথিপত্র চাওয়া হয়। এরপর নানা অজুহাতে তাঁর কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়। চাকরি পাওয়ার আশায় বেকার অর্ঘ্য প্রতারকদের পাতা ফাঁদে পা দেন। তিনি বাবা-মা ও লোকজনের কাছ থেকে ধার করে কয়েক দফায় ৪ লক্ষ ৭৬ হাজার ২৫৮ টাকা প্রতারকদের দেওয়া অ্যাকাউন্ট নম্বরে জমা করেন। তারপরও তাঁর চাকরি হয়নি। উল্টে তাঁকে আরও ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা জমা করার জন্য বলা হয়। টাকা জমা না করলে চাকরি হবে না বলে তাঁকে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়। বারবার টাকা চাওয়ার বিষয়ে সন্দেহ হয় অর্ঘ্যর। তিনি ঘটনার কথা জানিয়ে গত ১২ অক্টোবর শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিস। শক্তিগড় থানা ঘটনার কিনারায় সাইবার থানার টেকনিক্যাল সাহায্য নেয়। ফোন নম্বর ও অ্যাকাউন্টের সূত্র ধরে সাইবার থানা জানতে পারে, কলকাতার বিরাটি থানা এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের শাখায় অর্ঘ্যর দেওয়া টাকা জমা পড়েছে। ব্যাংকের নথি দেখে সেটি সুদীপের বলে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তার অ্যাকাউন্টে ৪ দফায় ১ লক্ষ ৩৯ হাজার টাকা জমা পড়ে।
ব্যাংকে চাকরির নামে সাড়ে ৪ লাখ টাকার প্রতারণা বর্ধমানে
RELATED ARTICLES