Saturday, July 27, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গকংসাবতী সেচ ক্যানালের জল উপচে প্লাবিত কয়েকশো বিঘা রবি ফসলের জমি

কংসাবতী সেচ ক্যানালের জল উপচে প্লাবিত কয়েকশো বিঘা রবি ফসলের জমি

নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়া: কংসাবতী সেচ ক্যানাল উপচে জলে ভাসল কয়েকশো বিঘে জমির রবি ফসল, খবর পেতেই ক্যানালে জল ছাড়া বন্ধ করল কংসাবতী সেচ কর্তৃপক্ষ, ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কায় মাথায় হাত কৃষকদের। কৃষকদের ক্ষতির কথা মেনে নিয়েছে কৃষি দপ্তর, খতিয়ে দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস ও দেওয়া হয়েছে। গতকাল ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার রাইপুর ব্লকের কাঁটাপাল এলাকায়। বিঘের পর বিঘে ফসলের জমিতে জল দাঁড়িয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। যদিও খবর পাওয়ার পর ওই সেচ ক্যানালে জল ছাড়া বন্ধ করে কংসাবতী সেচ কর্তৃপক্ষ। এমনিতেই একের পর এক নিম্নচাপের জেরে বাঁকুড়া জেলায় চলতি বছর আলু, সরষে, বাদাম সহ রবি ফসলের মরসুম শুরু হয়েছে অনেক দেরীতে। স্বাভাবিকভাবে নাবি করে লাগানো এই ফসলের উৎপাদন হয়েছে তুলনামূলক কম। মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা এর মতো কংসাবতী সেচ ক্যানালের জল উপচে প্লাবিত হল বিস্তীর্ণ এলাকার রবি ফসলের জমি। গতকাল ক্যানালের জল উপচে ঢুকে পড়ে কাঁটাপাল, পাটমৌলি, বাঁদরবনি, আমলাপাল সহ বেশ কয়েকটি গ্রাম লাগোয়া প্রায় ৩০০ বিঘা জমিতে। আলু, বাদাম, সরষে সহ অন্যান্য রবি ফসলের জমিতে কোথাও এক হাঁটু কোথাও আবার এক ফুট উচ্চতায় জল দাঁড়িয়ে যায়। এর ফলে চূড়ান্ত লোকসানের আশঙ্কার প্রহর গুনতে শুরু করে স্থানীয় কৃষকরা। কংসাবতী সেচ দফতর সূত্রে জানা গেছে রবি ফসলে সেচের জন্য মুকুটমনিপুর জলাধার থেকে দিন সাতেক আগে রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানালে ৬০০ কিউসেক হারে জল ছাড়া হয়। ক্যানালের শেষ প্রান্তে জল না পৌঁছানোয় জলের প্রেসার বৃদ্ধি করতে জল ছাড়ার পরিমান দিন চারেক আগে বৃদ্ধি করে কংসাবতী কর্তৃপক্ষ। ওই সেচ ক্যানালে জল ছাড়ার পরিমাণ ৬০০ কিউসেক থেকে বাড়িয়ে ১২০০ কিউসেক করতেই রাইপুরের কাঁটাপাল এলাকায় ক্যানাল উপচে জল ঢুকতে শুরু করে পার্শ্ববর্তী জমিতে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই দ্রুত খবর দেওয়া হয় মুকুটমনিপুর জলাধারে। খবর পাওয়ার পর গতকাল রাতেই রাইট ব্যাঙ্ক মেইন ক্যানালে জল ছাড়া বন্ধ করে দেয় মুকুটমনিপুর জলাধার কর্তৃপক্ষ। আপাতত জল ছাড়া বন্ধ করা হলেও কাঁটাপাল, পাটমৌলি, বাঁদরবনি ও আমলাপাল গ্রামের কৃষকদের দাবী যা ক্ষতি হওয়ার তা হয়ে গেছে। এরপর সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের পাশে না দাঁড়ালে সেক্ষেত্রে কৃষকদের না খেয়ে মরতে হবে। সেচ দপ্তরের ছাড়া জলে কৃষি ক্ষেতে যে ক্ষতি হয়েছে সে কথা মেনে নিয়েছেন কৃষি দপ্তরের আধিকারিক। আগামী দিনে সরজমিনে তদন্ত করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস ও মিলেছে।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments