Saturday, November 23, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গতপন কান্দুর খুনের ঘটনায় যুক্ত বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু

তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় যুক্ত বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু

সাথী প্রামানিক,পুরুলিয়া,১২ নভেম্বরঃ তপন কান্দুর খুনের ঘটনায় সাথে যুক্ত বিচারাধীন বন্দির মৃত্যু। আজ ভোরে ওই বন্দি সংশোধনাগারে অসুস্থ হয়ে পড়েন। তড়িঘড়ি তাঁকে পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়।  সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃত বিচারাধীন বন্দির নাম সত্যবান পরামানিক (৪৭)। তাঁর বাড়ি ঝালদা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের আনন্দবাজার এলাকায়। সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায় তাঁর বাড়িতে খবর পাঠানো হয়েছে। গত বছর ১৩ মার্চ বিকেল বেলা কংগ্রেস কাউন্সিলার তপন কান্দু সহ বেশ কয়েকজন গোকুলনগর এলাকায়  প্রতিদিনের মতো পায়চারি করতে যান। সেই সময় মোটর সাইকেলে এসে কয়েকজন দুষ্কৃতী তপন কান্দুকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি চালায়। ঘটনাস্থলেই গুরুতর জখম হয়ে পড়েন তপন কান্দু। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে উদ্ধার করে ঝালদা ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই সেদিনই ঝাড়খন্ডের রাঁচির একটি সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। খুনের ঘটনায় সাথে যুক্ত থাকায় গত বছর ১৩ এপ্রিল সত্যবান পরামানিককে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর গ্রেফতার করে সিবিআই। তারপর থেকে তিনি পুরুলিয়া জেলা সংশোধনাগারেই ছিলেন। ইতিমধ্যেই এই মামলার ফাইনাল চার্জশীট আদালতে জমা করে সিবিআই। এই খুনের ঘটনায় তাকে ষড়যন্ত্রকারী হিসাবে চার্জশিট জমা করে সিবিআই। সংশোধনাগার সূত্রে জানা যায় সত্যবান দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন। তিনি ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাঁকে নিয়মিত সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছিল। দেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে। এই মৃতুর ঘটনার বিচারবিভাগীয় তদন্ত হবে। বিচারাধীন বন্দি সত্যবান পরামানিকের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় রহস্য দেখা দিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা হয়। আজ দেহ শনাক্ত করার সময় এই অভিযোগ করে পরিবার পরিজনরা। মৃতের শ্যালক শর্মা বলেন, “শনিবার রাত্রে দিদির সঙ্গে কথা বলেন। কোনও অসুস্থতা বোধ করেন নি জামাইবাবু। আজ দুপুর দেড়টা নাগাদ থানা থেকে মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। এছাড়া সকালে প্রথমে বলা হয় অসুস্থ আছে। ফের জানতে চাওয়া হলে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষের কাছে যেতে বলা হয়। আবার তার মধ্যেই ভাগ্নির কাছ থাকে মৃত্যুর নোটিশে সই করিয়ে নেওয়া হয়। আমরা মনে করছি এটা স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে”। আজ দুপুরে দেহ শনাক্ত করতে গিয়ে সত্যবান পরামানিকের স্ত্রী বিমলা পরামানিক কান্নায় লুটিয়ে পড়েন মর্গের মেঝেই।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments