নিজস্ব সংবাদদাতা,বর্ধমানঃ দুর্গাপুজোর রেশ কাটতে না কাটতেই গোটা রাজ্যের সঙ্গে পূর্ব বর্ধমান জেলাতেও শ্যামা পুজো নিয়ে উন্মাদনা তুঙ্গে উঠেছে। জেলার প্রতিষ্ঠিত কালীবাড়ি তথা সিদ্ধপীঠগুলিতে যেমন মানুষের ঢল নেমেছে তেমনি এবার রীতিমত নজর কাড়ল বর্ধমানের মেহেদিবাগান বারোয়ারী সার্বজনীন শ্যামাপুজো কমিটি। প্রায় ১২ লক্ষ টাকার এই পুজোর থিম এবার দিল্লীর লালকেল্লা। আর এই লালকেল্লার থিমেই তুলে ধরা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস তথা ইণ্ডিয়া জোটের দিল্লী দখলের লড়াইকে। পুজো কমিটির সদস্য বাপি শর্মা জানিয়েছেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার গোটা ভারতবাসীর মধ্যে শংকা ছাড়া নতুন কিছু তৈরী করতে পারেনি। একের পর এক জনবিরোধী নীতি নিয়ে সাধারণ মানুষকে বিপর্যস্ত করে তুলেছে। তাই বাংলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরেই লড়াই চালাচ্ছেন। দিল্লীর ক্ষমতা দখল করবে বাংলার মেয়ে মমতা বন্দোপাধ্যায়। তিনি জানিয়েছেন, ইণ্ডিয়া জোটও তাইই চাইছে। তাই তাঁরা এই লালকেল্লা থিমের মধ্যে দিয়ে সেই বার্তাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। উল্লেখ্য, এই থিমে তুলে ধরা হয়েছে দিল্লীর লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়। তার সামনে রয়েছেন অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। থিমে তুলে ধরা হয়েছে দেশের অসংখ্য মনীষী, স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছবিও। বাপি শর্মা জানিয়েছেন, এই পুজোতেও তাঁরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তাকেই তুলে ধরতে চেয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রের ক্ষমতাসীন দল গোটা দেশে জাতপাতের রাজনীতিকেই উৎসাহ দিচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, ৭৭ বছরের এই পুজোয় এবারে পুজো কমিটির সভাপতি রয়েছেন ইফতিকার আহমেদ ওরফে পাপ্পু। যিনি জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের আইএনটিটিইউসির প্রাক্তন জেলা সভাপতিও। শনিবার এই পুজোর উদ্বোধন করেন রাজ্যসভার সাংসদ দোলা সেন। কালী পুজোর থিমে রাজনীতির এই বার্তাকে ঘিরে শহর জুড়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক চর্চাও। বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র জানিয়েছেন, এটা অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ হয়েছে। বাংলার মানুষের সনাতনী আবেগকে আঘাত করা হয়েছে। তৃণমূল অলীক স্বপ্ন দেখছে। এভাবে মা কালীকে নিয়ে ঘৃণ্য রাজনীতি করার জবাব ওরা ২০২৪-এর ভোটেই পাবেন।
২০২৪ এ লালকেল্লায় জাতীয় পতাকা তুলছেন মমতা বন্দোপাধ্যায়,কালীপুজোর থিম ঘিরে উন্মাদনা বর্ধমানে
RELATED ARTICLES