Monday, May 20, 2024
Google search engine
Homeদক্ষিণবঙ্গমুখ্যমন্ত্রীর কাজের ঢালাও প্রশংসা জেলা শাসকের মুখে

মুখ্যমন্ত্রীর কাজের ঢালাও প্রশংসা জেলা শাসকের মুখে

নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমান: আবার মুখ্যমন্ত্রী তথা রাজ্য সরকারের প্রশংসায় পঞ্চমুখ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক বিধান রায়। রবিবার ভাতারে জয় জোহার মেলায় আবার স্তুতিমুখর ছিলেন তিনি। তবে দু’দিন আগে বর্ধমানের মত বেলাগাম হন নি এদিন। রবিবার জেলাশাসক একটি ঘোষণা করেন।আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের যাতে প্রত্যেকেই জাতিগত সংশাপত্র হাতে পান তার জন্য এবার আদিবাসী অধ্যুষিত মহল্লাগুলিতে বিশেষ শিবির করা হবে। রবিবার ভাতারের মাহাতা পঞ্চায়েতের জামবুনি গ্রামে আদিবাসী জয় জোহার মেলার অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে একথা জানালেন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক বিধান রায়। তিনি বলেন,” আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষদের জাতিগত সংশাপত্র পেতে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, তপসিলি উপজাতি সম্প্রদায়ের প্রত্যেকটা মানুষ যাতে এই সংশাপত্র হাতে পান তার জন্য প্রয়োজনে জেলাজুড়ে আদিবাসী অধ্যুষিত পাড়াগুলিতে বিশেষ শিবির করা হবে।” তবে এদিন তিনি মূলত বলেন রাজ্য সরকার তথা মুখ্যমন্ত্রীর কর্মকাণ্ড নিয়ে। তিনি বলেন, Off the people, By the people, For the people এ সরকার আপনার সরকার।একথা পদে পদে প্রমাণ করে দিয়েছেন রাজ্য সরকার এবং মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। জেলা শাসক আরো বলেন,” মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর প্রচেষ্টায় নবান্ন এখন নবান্ন ভবনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। নবান্ন প্রতিটি গ্রামে গ্রামে,মহল্লায় মহল্লায় পৌঁছে যাচ্ছে। যার ফলশ্রুতি হল দুয়ারে সরকার। আর রাজ্যসরকারের এই দুয়ারে সরকারের মতন প্রয়াস বিশ্বের আর কোথাও দেখতে পাবেন না। শুধুমাত্র আমাদের রাজ্যে রয়েছে।আমরা চাই সরকারের সমস্ত ধরনের সুযোগ সুবিধা আপামর মানুষের কাছে পৌঁছে যাক। জেলায় এর মধ্যে ৪৪ লাখ মানুষের কাছে শিবিরে পরিষেবা দিচ্ছে ৩৮ টি দপ্তর। এছাড়াও জেলাশাসক রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্প ও সাধারণ নাগরিকদের প্রাপ্ত সুযোগ সুবিধা সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরেন। ।” উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ছিলেন পূর্ব বর্ধমান জেলাশাসক বিধান রায়, পূর্ব বর্ধমান জেলাপরিষদের সদস্য দেবু টুডু, ভাতারের বিধায়ক মানগোবিন্দ অধিকারী, জেলাপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু কোঁয়ার, ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি রূপালী সাহা, সহ সভাপতি বাসুদেব যশ, বিডিও দেবজিৎ দত্ত সহ অন্যান্য আধিকারিকরা। প্রশাসনের উদ্যোগে ও মাহাতা গ্রাম পঞ্চায়েতের তত্বাবধানে তিনদিনের এই আদিবাসী জয়জোহার মেলার আয়োজন করা হয়েছে। তিনদিন ধরে নানান ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক প্রতিযোগীতা এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন দফতরের স্টল হয়েছে। স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি সামগ্রীর স্টলও দেওয়া হয়েছে মেলায়।

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments