নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ থরে থরে সাজানো নোটের বাণ্ডিল নিয়ে আচমকাই টার্গেটের কাছে হাজির হতেন প্রতারকরা। তারপরই শুরু হত টাকা কুড়িয়ে পাওয়ার গল্প। এরপরই সুযোগ বুঝে গহনা হাতিয়ে চম্পট দিত প্রতারকদের দল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারী থানার অভিযানে পর্দা ফাঁস হল এই চক্রের। গ্রেপ্তার চক্রের ৩ পাণ্ডা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,নোটের বাণ্ডিলের উপরে ও নীচে আসল টাকা ও ভিতরে নকল টাকা সাজিয়ে বাণ্ডিল তৈরী করে প্রলোভন দেখিয়ে সুযোগ বুঝেই গহনা হাতিয়ে চম্পট দিত এই চক্রের পাণ্ডারা। গোপনসূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতেই মেমারি বাসস্ট্যাণ্ড এলাকা থেকে থেকে গতকাল তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। ধৃত নির্মল রায়,মলিন দাস ও গোপাল শর্মা। তাদের বাড়ি যথাক্রমে ব্যারাকপুর,কল্যানী ও চাকদা এলাকায়। প্রতারকরা মূলত বয়স্ক মহিলাদেরই টার্গেট করতো। এরপরই নকল নোটের বাণ্ডিলের আড়ালে ওপরে ১০০ বা ৫০০ টাকার আসল নোট রেখে টাকার বাণ্ডিল বানিয়ে বাসট্যান্ডে ও স্টেশনের মতো জায়গায় গল্প ফেঁদে প্রলোভন দেখিয়ে শরীরে থাকা অলংকার নিয়ে চম্পট দিত প্রতারকরা। সমগ্র জেলাজুড়েই সক্রিয় ছিল এই প্রতারণা চক্র। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, তিনজন ব্যক্তি প্রথমে নকল নোট বা কাগজের বান্ডিল তৈরি করে তার ওপরে আসল ১০০ বা ৫০০ টাকার নোট লাগিয়ে সাধারণত বাসস্ট্যান্ড ও স্টেশন এলাকায় সাধারণ যাত্রী সেজে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এরপর বয়স্ক মহিলাদের টার্গেট করতেন এবং একজন প্রতারক দলের সদস্য গিয়ে নোটের বান্ডিল গুলি নিয়ে বলতো, যে কোন একজন ভুল করে ফেলে গেছে নোটের বান্ডিলটি কিন্তু তিনি এই বান্ডিলটি নিয়ে কি করবেন বুঝতে পারছেন না। সেই সময় দলের অন্য সদস্যরা কিছুটা দূরে সাধারণ যাত্রী সেজে দাঁড়িয়ে থাকতেন। এরপরই মহিলাকে নোটের বান্ডিল দেখিয়ে ভাগাভাগি করে দেওয়ার প্রস্তাব রাখতেন এবং মহিলাকে প্রলোভন দেখিয়ে মহিলার কাছে থাকা বিভিন্ন সোনার অলংকার হাতিয়ে নিয়ে চম্পট দিত প্রতারকরা। বেশ কিছুদিন ধরেই বিভিন্ন জায়গা থেকে এই ধরনের প্রতারণার অভিযোগ আসছিল। এরপরই গোপন সূত্রে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে মেমারি বাসস্ট্যান্ডে অভিযান চালায় পুলিশ। ৩ ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করতে দেখে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা প্রতারণার কথা স্বীকার করে নেয়। বুধবার ধৃতদের পেশ করা হয় বর্ধমান আদালতে।
নকল নোটের বান্ডিল দেখিয়ে মহিলাদের গহনা হাতানোর চক্রের হদিশ মেমারীতে
RELATED ARTICLES