সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ উৎসব হলো সেটাই,যেখানে আনন্দ ও উন্মাদনা সবাই মিলে ভাগ করে নেওয়া হয়। বাংলার সেরা উৎসব দুর্গাপুজোর সময় সারা বাংলা জুড়ে আমরা অনেক সামাজিক কাজকর্ম দেখেছি। সেই ধারা অব্যাহত ছিল বাংলার আরও এক উৎসব কালীপুজোর সময়ও। এই সময়েও দেখা যায় সমাজের পিছিয়ে থাকা মানুষদের উৎসবে সামিল করানো,তাদের পাশে থাকার একাধিক কর্মসূচী। সেরকমই এক উদ্যোগ দেখা গেল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মসূচীতে। সৃষ্টি নামে ওই সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে পূর্ব বর্ধমান জেলার আউসগ্ৰাম থানার ভেলা ডাঙ্গা আদিবাসী পাড়ার প্রাইমারি স্কুলের ২৫ জন কচিকাঁচাদের নিয়ে দুর্গাপুরে এসেছিল এখানকার বিভিন্ন এলাকার কালী ঠাকুর ও প্যান্ডেল পরিদর্শন করাতে। এই পরিক্রমাকালে তারা এসেছিল ইস্পাতনগরীর বি জোনের কৃত্তিবাস নর্থ পূজা কমিটির কালী প্রতিমা দেখতে। এখানে পুজো কমিটির তরফে বাচ্ছাদের অভ্যর্থনা জানানো হয় এবং তাদের হাতে উপহার তুলে দেন এলাকার প্রাক্তন পৌরমাতা মনি দাশগুপ্ত। এছাড়াও ছিলেন দুর্গাপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক অনিন্দিতা মূখার্জীও। পূজা কমিটির বাচ্ছাদের দুপুরের খাবার ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। সমাজসেবী সংস্থা সৃষ্টি’র পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন কৌশিক রায়,লক্ষীকান্ত ঘোষ, সুব্রত মূখার্জী, জয়ন্ত বাগ্দী, সিপন সমাদ্দার আরো অনেকে। তাদের পক্ষ থেকে হারাধন ভট্টাচার্য বলেন, পুজোর এই আনন্দ থেকে যাতে এই পিছিয়ে থাকা পরিবারের বাচ্ছাগুলো বঞ্চিত না হয়। তাই তাদের আনন্দ দিতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তিনি জানান আগামী দিনেও এই রকম মানবিক কর্মসূচি পালন করবেন তারা।
আদিবাসী স্কুলের কচিকাচাদের ঠাকুর দেখানো হল দুর্গাপুরে
RELATED ARTICLES