নিজস্ব প্রতিনিধি, বাঁকুড়া: স্রেফ আত্মহত্যা নয়, পুরুলিয়ার বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেনের দেহরক্ষীকে এম এল এ হোস্টেলে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। অভিযোগ করে ঘটনার তদন্তের দাবী জানাল মৃত দেহরক্ষী জয়দেব গরাইয়ের পরিবার। শনিবার সকালে ওই দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয় কলকাতার এমএলএ হোস্টেলে। তাঁর মৃত্যুর খবর বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার বাঁশি এলাকায় পৌঁছাতেই শোকে মুষড়ে পড়ে গোটা গ্রাম। দাবী জানানো হয় গোটা ঘটনার পূর্নাঙ্গ তদন্তের। বাঁকুড়ার সিমলাপাল থানার বাঁশি গ্রামের যুবক জয়দেব গরাই এর ছোট থেকেই ইচ্ছে ছিল পুলিশ হওয়ার। ২০১২ সালে সেই চাকরী পান। বর্তমানে তিনি পুরুলিয়া জেলার বান্দোয়ানের বিধায়ক রাজীব লোচন সোরেনের দেহরক্ষী হিসাবে কর্মরত ছিলেন। আজ সকালে কলকাতায় এমএলএ হোস্টেল থেকে ওই দেহরক্ষীর মৃতদেহ উদ্ধার হয়। স্থানীয় থানার মাধ্যমে পরিবারের লোকজন জানতে পারেন পাঁচ তলা থেকে নিচে পড়ে মৃত্যু হয়েছে জয়দেবের। পরিবারের লোকজন থেকে শুরু করে বন্ধু বান্ধব সকলেরই দাবী জয়দেব মানসিক ভাবে যথেষ্ট শক্ত ও অত্যন্ত হাসিখুশি । তাই তিনি কোনোভাবেই আত্মহত্যা করতে পারেন না। বন্ধুদের দাবী কোনো গোপন তথ্য জেনে ফেলাতেই জয়দেবকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। সকলেই জয়দেবের এই মর্মান্তিক পরিণতির পিছনে থাকা আসল কারন জানতে প্রকৃত তদন্তের দাবী জানিয়েছেন।
আত্মহত্যা নয়,খুন করা হয়েছে বিধায়কের দেহরক্ষীকে, দাবী মৃতের পরিবারের
RELATED ARTICLES