সার্থক কুমার দে,পাণ্ডবেশ্বরঃ বিধায়কের সহায়তা ও প্রচেষ্টায় মাথাতে জটিল অস্ত্রোপচারের পর নতুন জীবন ফিরে পেল আট বছরের শিশু। সুস্থ শিশুকে সাথে নিয়ে বিধায়কের সাথে দেখা করে কৃতজ্ঞতা জানালেন শিশুর বাবা,মা। শিশুটি সুস্থ হয়ে ওঠায় খুশি বিধায়ক। নাম ঈশান শেখ,বয়স আট বছর,নবগ্রামের ডাঙ্গাল পাড়াতে বাড়ি। বাবা খাইরুল শেখ দিনমজুর,মা হেনা বিবি গৃহবধূ। মাস দু’য়েক আগে খেলা করতে করতে হঠাৎ মাথার উপর ভর দিয়ে পড়ে যায় ঈশান। দুর্ঘটনায় গভীর চোট লাগে মাথাতে। চির ধরে করোটিতে (মাথার খুলি)। প্রাথমিক চিকিৎসা করানো হয় কিন্তু তাতে বিপদমুক্ত হয়নি ঈশান। চিকিৎসকরা জানান, মাথায় জটিল অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন। যা যথেষ্ট খরচা সাপেক্ষ। আর্থিক সঙ্গতি না থাকায় ছেলের চিকিৎসা করানো নিয়ে মহা বিপদে পরে যান শিশুটির বাবা ও মা। বিষয়টি জানতে পারেন এলাকার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। তিনি বাবা-মাকে ডেকে ছেলের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্যের আশ্বাস দেন। এককালীন আর্থিক সাহায্যও করেন তিনি। এরপর বিধায়কের প্রচেষ্টাতে চিকিৎসার জন্য ঈশানকে ভর্তি করা হয় কলকাতার পিজি হাসপাতালে। সম্প্রতি সেখানকার বিশেষজ্ঞ শৈল চিকিৎসকেরা শিশুটির মাথায় অপারেশন করেন। করোটিতে লাগানো হয় ধাতু প্লেট। অস্ত্রোপচার সফল হয় বলে জানান চিকিৎসকের। অস্ত্রোপচারের পর সুস্থ ঈশানকে নিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তার অভিভাবকেরা। আজ শনিবার সুস্থ ঈশানকে সাথে নিয়ে বিধায়কের সাথে দেখা করেন তার মা হেনা বিবি। কঠিন সময়ে পাশে থাকার জন্য তিনি কৃতজ্ঞতা জানান বিধায়ককে। শিশুটিকে বুকে জড়িয়ে আদর করেন বিধায়ক। বিষয়টি নিয়ে বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী বলেন, “আমি হেতু মাত্র। কৃতজ্ঞতা জানানো উচিত পিজি হাসপাতালের চিকিৎসকদের। যাদের কারণে ছেলেটি নতুন জীবন ফিরে পেয়েছে। সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে অনেকেই বিভ্রান্তি ছড়ান,এটা ঠিক নয়। ঈশানের সফল জটিল অপারেশন প্রমাণ করলো সরকারি হাসপাতালেও আধুনিক চিকিৎসা হয় এই রাজ্যে”। স্বাস্থ্য সাথী কার্ড থেকেও চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় সাহায্য পাওয়া গেছে বলেও জানান তিনি।
বিধায়কের সহায়তায় নতুন জীবন পেল আড়াই বছরের শিশু
RELATED ARTICLES