নিজস্ব প্রতিনিধি,বর্ধমানঃ পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রামের মোজাফফর পাড়ার মুজাফফর পল্লী প্রাথমিক বিদ্যালয়। এখানে পড়ুয়ার সংখ্যা ৭৫ আর শিক্ষক ৪ জন।শুধু শ্রেণিকক্ষ নয় এমন কি স্কুল শিক্ষকদের বসার রুমের অবস্থা তথৈবচ। সেখানেও জল পড়ে। পলেস্তারা খসে পড়ছে। বিপদজনক অবস্থায় গোটা স্কুলবাড়ি। জীবনের ঝুঁকি নিয়েই স্কুল চলছে। বিদ্যালয়টি দীর্ঘ চার বছর ধরে এইভাবে বেহাল দশা। তবুও হেলদোল নেই প্রশাসনের। এইভাবে শিক্ষকরা পড়াশুনা চালিয়ে আসছেন। স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেখ সাদেক জামাল বলেন,তিনি বারে বারে স্কুল শিক্ষা দপ্তরে, বিডিও অফিসে জানিয়েছেন এই বেহাল দশার কথা। কিন্তু কোন সুরাহা হয় নি। ভগ্নদশা অবস্থায় তারা স্কুলের পঠনপাঠন চালিয়ে যাচ্ছেন। খুবই খারাপ অবস্থা। অভিভাবকরা ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় খাচ্ছেন। আমরা বাধ্য হয়ে শ্রেণিকক্ষে না পড়িয়ে বারান্দায় পড়াচ্ছি। কারণ ঘরগুলির অবস্থা খুবই খারাপ। স্থানীয় বাসিন্দা তথা অবিভাবক আসগর সেখ বলেন, মাঝেমধ্যে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠানো হয়।স্কুলের হাল খুবই খারাপ। পলেস্তারা খসে পড়ছে। ছাদ ছুয়ে জল পড়ছে।যেকোনো সময়ে দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।তাই ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাতে ভয় লাগে। স্কুলের বেহালদশার জন্য অনেক অবিভাবক বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো বন্ধ করে দিয়েছেন বলে জানান প্রধান শিক্ষক। দেওয়াল সোঁত থাকায় ইলেকট্রিক শক খাচ্ছে পড়ুয়ারা। অবিভাবক ফাইজুদ্দিন সেখ বলেন,দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে এই বেহাল অবস্থা। কিন্তু শিক্ষা দপ্তর বা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। আমরা চাই স্কুলের হাল ফেরানো হোক।না হলে আমরা কি করে ছেলেমেয়েদের স্কুলে পাঠাবো। স্কুলের তিনটি শ্রেণিকক্ষে তালা দিয়েছেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক। কারণ যখন তখন চাঙড় খসে পড়ছে সিলিং থেকে।এই বিষয়ে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্যামাপ্রসন্ন লোহার বলেন, সমস্যার কথা জানি। আমি এই বিষয়ে অতিরিক্ত জেলা শাসককে (শিক্ষা) চিঠি দিতে বলেছি।
স্কুলের ছাদ থেকে পলেস্তারা খসে পড়ছে,ভয়ে বাইরে চলছে পঠনপাঠন
RELATED ARTICLES