নিজস্ব প্রতিনিধি,বাঁকুড়াঃ রবিবার জনগর্জন সভায় রাম্পে হেঁটেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে পায়ে পা মিলিয়ে। সোমবার দুপুরে বাঁকুড়ার বড়জোড়ায় বাড়ি ফিরলেন সুজাতা। গাড়ি থেকে নেমেই বাড়িতে গিয়ে প্রথমে গুরুদেব ও পরে বাবা ও মাকে পায়ে ছুঁয়ে প্রণাম করলেন। আশীর্বাদ চাইলেন আগামী লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র থেকে জয়ী হবার। বাড়ি থেকেই তার বিপরীতে থাকা বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন স্বামী সৌমিত্র খাঁকে নাম না করে পাত্তা দিতেই নারাজ সুজাতার। তার কটাক্ষ, বিজেপি কার্যকর্তারাই বলে সৌমিত্র কখন কোন দলে আছে,কতক্ষণ কোন দলে থাকবে বিশ্বাস করতে পারেন না। দশ বছর সুযোগ পেয়ে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রে মানুষের জন্য কোন কাজ করতে পারলেন না। নাম না করে বলেন, তাকে আমি প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে মনে করি না। যিনি কাজই করেননি,তার আবার খামতি। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী সৌমিত্র খাঁ কোর্টের নির্দেশে প্রচার করতে পারেননি সিংহভাগ সময়। থাকতে হয়েছিল লোকসভা ক্ষেত্রের বাইরে। সে সময় প্রচারের সিংহভাগ দায়িত্ব নিজের কাধে তুলে নিয়েছিলেন স্ত্রী সুজাতা মন্ডল,জয়ী হয়েছিল বিজেপি। তার দাবি ২০১৯ এ স্ত্রী কর্তব্য পালন করেছেন,দল সেখানে সেকেন্ডারি ছিল। এখন এটা ন্যয় এর লড়াই। ন্যায়ের যুদ্ধ একজন নারীর লড়াই। তৃণমূল মানুষের জন্য কাজ করে চলেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়,অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সব সময় মানুষের কথা ভাবেন। জঙ্গলমহলের মানুষ না খেতে পেয়ে কেউ ঘুমায় না। কৃষক আত্মহত্যা করে না। একজন তপশিলি জাতির বাড়ির মেয়ে হয়ে দল তাকে সুযোগ দিয়েছে। আর একবারও ভুল করবেন না ‘২৪ ✖ ৭ আগার সার্ভিস চাহতে হ্যায়,তো সুজাতা কে ভোট দিজিয়ে’ বলেই স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিমায় বিষ্ণুপুরবাসীর কাছে ভোটের আবেদন রাখেন সুজাতা।
প্রাক্তন স্বামীকে পাত্তা দিতে নারাজ,জয়ী হয়ে বিষ্ণুপুরকে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা এনে নিতে চান সুজাতা
RELATED ARTICLES