নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান, ৬ জুন: গোটা দেশের মধ্যে ৪টি নামী হাসপাতালের তালিকায় থাকা দুর্গাপুর মিশন হাসপাতাল এবার বর্ধমানেও রোগী পরিষেবা দেওয়া শুরু করল। বৃহস্পতিবার উল্লাসের বিআইএমএসে সাংবাদিক বৈঠকে দুর্গাপুর মিশনের কর্ণধার সত্যজিত বোস জানিয়েছেন, ক্রমশই হৃদরোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ৪৫ বছর থেকে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমশই বাড়ছে। এমনকি আগে মহিলারা বাদ থাকলেও তাঁদের আক্রান্তের সংখ্যাও উর্ধমুখী। তিনি জানিয়েছেন, কেবলমাত্র দুর্গাপুর মিশন হাসপাতালেই তাঁরা প্রতি মাসে প্রায় ২০০ রোগীর বাইপাস সার্জারি, ৪০০-৫০০ অ্যাঞ্জিওপ্লাস্টি হচ্ছে। এখানে পয়সা খরচ করে করাতে হয়। এর বাইরে টাকা পয়সার অভাবে অপারেশন করাতে পারছেন না এই সংখ্যাটাও অনেক। তিনি জানিয়েছেন, ভারতে বছরে ২ কোটি মানুষের হার্ট সার্জারি লাগে। সেখানে হচ্ছে ২ লক্ষ। এক্ষেত্রে সচেতন করা দরকার। বিশ্বে হার্টঅ্যাটাক পরিসংখ্যানে ভারত অন্যতম। এর কারণ হিসাবে তিনি জানিয়েছেন, ধূমপান, অনিয়মিত জীবন যাপন পালন এবং একইসঙ্গে জাঙ্ক ফুড এবং চিনি খাওয়া এই ভয়াবহতাকে ডেকে আনছে। তিনি জানিয়েছেন, শুধু দুই বর্ধমানই নয়, আশপাশের অন্যান্য জেলা থেকেও প্রচুর সংখ্যক রোগী তাঁদের কাছে আসছেন। তাই তাঁরা চিকিত্সাকে মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেবার উদ্যোগ নিয়েছেন। তারই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে বর্ধমানের এই বিআইএমএস হাসপাতালের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত হয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রতি সপ্তাহে নাম করা চিকিত্সক যাঁরা দুর্গাপুর মিশনের সঙ্গে যুক্ত তাঁরা পর্যায়ক্রমে এখানে বিভিন্ন দিনে আসবেন। সত্যজিতবাবু এদিন ঘোষণা করেছেন, এখানে আউটডোরের চিকিত্সা করা হবে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে। কোনো অর্থই ব্যয় করতে হবে না রোগীদের। তিনি জানিয়েছেন, এর ফলে নদীয়া, হুগলী এবং পূর্ব বর্ধমান জেলার মানুষকে দুর্গাপুর ছুটতে হবে না। বর্ধমানে বসেই দুর্গাপুর মিশনের চিকিত্সা পরিষেবা পাবেন। প্রসঙ্গত, এদিন সত্যজিতবাবু জানিয়েছেন, কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন এমন কারও সাথে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত। তবে সেটা অবজারভেশন ডেটা। স্ট্যাটিস্টিক্যাল ডেটা পেতে এখনও ৫ বছর সময় লাগবে।
‘চিনি’ হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিচ্ছে – ডা. সত্যজিত বোস
RELATED ARTICLES